সিলেট মিরর ডেস্ক
মে ২৩, ২০২১
০৮:০৭ অপরাহ্ন
আপডেট : মে ২৩, ২০২১
০৮:০৭ অপরাহ্ন
পূর্বাঞ্চলীয় শহর গোমায় একটি আগ্নেয়গিরিতে লাভা উদগীরণ শুরু হওয়ায় বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর সরকার।
বিবিসি জানায়, মাউন্ট নাইরাগঙ্গো থেকে বিস্ফোরিত লাভায় রাতের আকাশ উজ্জ্বল হয়ে ওঠেছে। গোমার ওপর কমলা রঙের মেঘ ভাসছে।
এ শহরে ২০ লাখ মানুষ বসবাস। অগ্নুৎপাত শুরু হতেই ভয়ে লাখ লাখ বাসিন্দা পালাতে শুরু করেছে। বাহন না থাকায় অনেকেরই ভরসা শুধু পা।
আগ্নেয়গিরিটি গোমা থেকে ১০ কিমি দূরে অবস্থিত। ২০০২ সালে শেষবার অগ্নুৎপাতে ২৫০ মানুষ মারা যায়, ঘর হারায় ১ লাখ ২০ হাজার বাসিন্দা।
বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা পর সরকারি ঘোষণা আসে। এর আগেই হাজার হাজার মানুষ তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে পূর্বের রুয়ান্ডা সীমান্তের দিকে যেতে থাকে।
রুয়ান্ডা কর্তৃপক্ষ জানায়, ইতিমধ্যে ৩ হাজারের মতো গোমার বাসিন্দা সীমান্ত অতিক্রম করেছে। তাদের রাখা হয়েছে বিদ্যালয় ও উপাসনালয়ে। অন্য বাসিন্দারা শহরের পশ্চিম দিকে গেছে বলে জানা যায়।
শহরের এক বাসিন্দা বার্তা সংস্থাকে জানান, সবাই ভয় পেয়ে দৌড়াচ্ছে। তারা জানে কী হতে যাচ্ছে না।
অগ্নুৎপাতের কারণে সৃষ্ট নতুন একটি ফাটল দিয়ে লাভা গোমার এগিয়ে দিকে যাচ্ছে, স্থানীয় বিমানবন্দরে পৌঁছে গেছে। বিস্তৃত অঞ্চল এখন বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন। এ ছাড়া প্রধান সড়কের একটি লাভায় ডুবে গেছে।
মাউন্ট নাইরাগঙ্গো বিশ্বের সক্রিয় আগ্নেয়গিরির মধ্যে অন্যতম। বলা হচ্ছে, দুর্নীতির অভিযোগে তহবিল কাটার পর এর ওপর যথাযথ নজর রাখেনি গোমা ভলকানো অবজারভেটরি।
এর আগে ১০ মে অবজারভেটরি থেকে ভূকম্পনের সতর্ক বার্তা দেওয়া হয়।
১৯৭৭ সালে মাউন্ট নাইরাগঙ্গোতে সবচেয়ে ভয়ংকর বিস্ফোরণটি ঘটে। তখন ৬০০ এর বেশি মানুষ মারা যায়।
বি এন-০৫