সজীব দেবরায়, কমলগঞ্জ
জুন ০১, ২০২১
১১:০৫ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ০১, ২০২১
১১:০৫ অপরাহ্ন
গ্রীষ্মকালের জ্যৈষ্ঠ মাসকে বলা হয় মধুমাস। এখন এই মধুমাসে আনারসের ভরা মৌসুম চলছে। আনারসের মৌ মৌ ঘ্রাণে জুড়িয়ে যাচ্ছে প্রাণ। মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ ও শ্রীমঙ্গল উপজেলা হলো পাহাড়ি অঞ্চল। এই অঞ্চল সব ধরনের ফসল চাষাবাদের উপযুক্ত স্থান হিসেবে বিবেচিত। জ্যৈষ্ঠ মাসে অন্যান্য ফলের চেয়ে আনারসের অতিমাত্রায় চাহিদা রয়েছে। দামও সহনশীল।
প্রতিদিন ভোরে পাহাড়ি টিলা থেকে আনারস বোঝাই করা জিপ, সিএনজিচালিত অটোরিকশা এবং ঠেলাগাড়িযোগে লাইন ধরে আসে। বোঝাইকৃত ঠেলাগাড়ির সামনের দিক মাটিতে রেখে তার পিঠে রাখা আনারসকে ডিসপ্লের মতো করে সাজিয়ে রাখা হয় রাস্তার দুইপাশে, যেন পাইকারি ও খুচরা ক্রেতারা এগুলো দেখে সহজে আকৃষ্ট হন। দূর-দূরান্ত থেকে ছোট-বড় আড়ৎদাররা আনারসের বাজারে আসেন তাদের পছন্দমতো আনারস ক্রয় করতে।
শমশেরনগর বিমানবন্দর এলাকা ও লাউয়াছড়া বনের আশপাশের পাহাড়ি এলাকায় হচ্ছে আনারসের বাণিজ্যিক চাষাবাদ। এখানকার আনারস খুব মিষ্টি ও রসালো। এর চাহিদা রয়েছে সব জায়গায়।
তবে চাষিদের প্রতি ক্ষোভ আছে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের। তাদের দাবি, আনারস চাষিরা ঠেলাগাড়ির ভেতরে ছোট-মাঝারি আকারের আনারস রেখে বড় সাইজের আনারসের দাম নিয়ে থাকেন। ফলে তাদের ক্ষতি হয়।
প্রতি ঠেলাগাড়িতে ১০০ পিস ছোট আনারস পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা থেকে ৭০০ টাকায়, মাঝারি আকারের আনারস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকায় এবং বড় আকারের আনারস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা দরে। তবে খুচরা অনেক বিক্রেতা দ্বিগুণ দামে আনারস বিক্রি করছেন বলে জানা গেছে।
গতকাল শুক্রবার কমলগঞ্জের শমশেরনগর ও ভানুগাছ বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাজারে আনারসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই গরমে আনারসের চাহিদা আরও বেড়েছে। পছন্দমতো আনারস ক্রয় করে নিজেদের এলাকায় নিয়ে যান পাইকাররা। দাম সহনীয় থাকায় দ্রুতগতিতে আনারস বিক্রি হয়ে যায়।
শমশেরনগর বাজারের আনারস ব্যবসায়ী কামরুল হাসান মারুফ বলেন, শমশেরনগর বিমানবন্দর এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষাবাদকৃত মৌসুমী আনারসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তবে সময়মতো বৃষ্টিপাত না হওয়ায় এবার ফলন খুব একটা ভালো হয়নি।
এসডি/আরআর-০১