ধসে পড়েছে সীমানা প্রাচীর, অরক্ষিত হাজতখানা

এ.জে লাভলু, বড়লেখা


জুন ০১, ২০২১
১১:১০ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ০১, ২০২১
১১:১০ অপরাহ্ন



ধসে পড়েছে সীমানা প্রাচীর, অরক্ষিত হাজতখানা
ঝুঁকিতে বড়লেখার চৌকি আদালত

ব্যবহারের অনুপযোগী জরাজীর্ণ ভবনে দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকি নিয়ে চলছে আদালতের যাবতীয় কার্যক্রম। প্রায়ই ভবনের দেয়াল ও ছাদের বিভিন্ন স্থানের পলেস্তারা খসে পড়ছে। ভবনের দেয়াল ও ছাদের বিভিন্ন স্থানেও রয়েছে ফাটল। এছাড়া বৃষ্টি হলেই ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে মূল্যবান নথিপত্র ভিজে নষ্ট হচ্ছে। গত শুক্রবার হাজতখানার সীমানা প্রাচীরও ধসে পড়েছে। এতে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে হাজতখানাটি। যেকোনো সময় ভবনের দেয়াল ও ছাদ ধসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। এ হাল মৌলভীবাজারের বড়লেখা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের (চৌকি আদালত)। এই অবস্থায় দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮২ সালে প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের মাধ্যমে তৎকালীন সরকার উপজেলা আদালত পরিচালনার জন্য বড়লেখায় (আদালত) ভবন নির্মাণ করে। নব্বইয়ের দশকে এক সরকারি আদেশে উপজেলা আদালত প্রত্যাহার করা হয়। ২০০৪ সালের শেষদিকে সরকার দেশের সীমান্তবর্তী ৯টি উপজেলায় চৌকি আদালত চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর দীর্ঘদিন থেকে অরক্ষিত থাকা ভবনে বড়লেখা আদালতের কার্যক্রম পুনরায় চালু করা হয়।

ইতোপূর্বে জরাজীর্ণ ভবনের ছাদ ও দেয়ালের পলেস্তারা ভেঙে অনেকের ওপর পড়েছে। এমনকি বিচারকের এজলাসে বিচারকার্য চলাকালীন ছাদের পলেস্তারা-খোয়া ভেঙে আইনজীবীদের মাথায় পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। সামান্য মেরামত করেই কর্তৃপক্ষ দায় সেরেছে। গত শুক্রবার আদালত ভবনের হাজতখানার উত্তরদিকের প্রায় ৩০ ফুট সীমানা প্রাচীর ধসে পড়ে। এতে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে আদালতের হাজতখানা। ফলে আদালত পুলিশের নিরাপত্তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, আদালত ভবনটি দীর্ঘদিন ধরেই জরাজীর্ণ। ঝুঁকি নিয়ে আদালতের কার্যক্রম চলছে। ভবনের দেয়াল, ছাদ, পিলার ও ভিমের বিভিন্ন স্থানে ফাটল রয়েছে। ভবনটিতে রয়েছে আদালতের এপিপি কক্ষ, জিআরও কক্ষ, পুরুষ হাজতখানা ও মহিলা হাজতখানা। দেয়াল ও ছাদের বিভিন্ন স্থানের পলেস্তারা খসে পড়ছে। ছাদ চুঁইয়ে বৃষ্টির পানি পড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ও অরক্ষিত বিচারাধীন মামলার জব্দকৃত মূল্যবান নথিপত্র ও আলামত নষ্ট হচ্ছে। ভবন সংকটে মহিলা হাজতখানায় বসবাস করছেন আদালত স্টাফ ও পুলিশ সদস্যরা। 

আদালতের সহকারি আইন কর্মকর্তা (এপিপি) গোপাল দত্ত বলেন, আদালত ভবনটি অনেক আগেই ডেমেজ হয়ে গেছে। অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে সকলেই কাজ করছেন। নতুন আদালত ভবন নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তা না হলে ভবন ধসে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।  

আদালতের জেনারেল রেকর্ডিং কর্মকর্তা (জিআরও) এসআই মুজিবুর রহমান বলেন, আদালত ভবনটি এমনিতেই ঝুঁকিপূর্ণ। গত শুক্রবার হাজতখানার সীমানা প্রাচীর ধসে পড়েছে। বিষয়টি ম্যাজিস্ট্রেট স্যারসহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।


এজে/আরআর-০২