বড়লেখায় পানজুম দখলের ঘটনায় আরও একজন গ্রেপ্তার

বড়লেখা প্রতিনিধি


জুন ০৬, ২০২১
০৩:০৩ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ০৬, ২০২১
০৩:০৩ অপরাহ্ন



বড়লেখায় পানজুম দখলের ঘটনায় আরও একজন গ্রেপ্তার

মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণ শাহবাজপুর ইউনিয়নের বনাখলাপুঞ্জির পানজুম দখলের ঘটনায় জড়িত শফিক উদ্দিন ওরফে বাউল শফিক (৭০) নামে আরও একজনকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।

শনিবার (৫ জুন) বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (০৪ জুন) বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এই ঘটনায় এ পর্যন্ত ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বড়লেখা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রতন দেবনাথ।

রবিবার সকালে তিনি বলেন, ‘তদন্তে পানজুম দখলের ঘটনায় শফিক উদ্দিনের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। এ কারণে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গতকাল শনিবার (০৫ জুন) বিকেলে তাকে আদালতে পাঠানোর পর বিচারক তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

এর আগে এই ঘটনায় জড়িত আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনার এজাহারনামীয় ও তদন্তে প্রাপ্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।’

থানা পুলিশ, পুঞ্জির বাসিন্দা ও চা-বাগান কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ মে সকালে বোবারথল এলাকার আব্দুল বাছিত, পিচ্চি আমির, লেছই মিয়ার নেতৃত্বে ৪০-৫০ জনের একদল লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বনাখলাপুঞ্জির খাসিয়া আদিবাসিদের ৭০ একর জুমের জায়গা দখল করে  তাদের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। এরপর জুমে তারা কয়েকটি ঘরও নির্মাণ করে।

দাবিকৃত চাঁদা না দিলে খাসিয়াদের তারা জুমে প্রবেশ করতে দেবে না বলে জানিয়ে দেয়।  এই ঘটনায় গত ৩০ মে পুঞ্জির নারী মান্ত্রী (পুঞ্জি প্রধান) নরা ধার ও ছোটলেখা বাগানের প্রধান টিলা করণিক মো. দেওয়ান মাসুদ থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২ জুন মুখলেছ আলী ও মহরম আলী ওরফে কুটুন মিয়াকে 

গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জুম দখলের ঘটনায় প্রশাসন স্থানীয় চেয়ারম্যানের মাধ্যমে দখলদারদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে জুম থেকে সরে যাওয়ার আল্টিমেটাম দেয়। কিন্তু দখলদাররা সরে যায়নি।

এরপর শুক্রবার (৪ জুন) বড়লেখা উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালায়। অভিযানের টের পেয়ে দখলদাররা জুম ছেড়ে পালিয়ে যায়। এসময় জুমে দখলদারদের নির্মিত ৩টি টিনশেডের ঘর উচ্ছেদ করে প্রশাসন। পরে জুমের জায়গা খাসিয়া ও চা-বাগানের কাছে বুঝিয়ে দেয়া হয়।   

এ জে/বি এন-০৪