সিলেট মিরর ডেস্ক
জুন ০৬, ২০২১
০৯:০৫ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ০৬, ২০২১
০৯:০৫ অপরাহ্ন
বিদায় নেওয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ট ট্রাম্প প্রশাসনের শেষ কয় সপ্তাহজুড়ে দেশটির আইন মন্ত্রণালয় নিউ ইয়র্ক টাইমস পত্রিকার চার সাংবাদিকের ইমেইল সংগ্রহ করতে গোপন আইনি লড়াইয়ে নেমেছিল। যে লড়াই গত এক বছর পর্যন্ত অব্যাহত রেখেছিল বাইডেনের প্রশাসনও। মূলত, টাইমস সাংবাদিকদের সূত্র কারা তা খুঁজে বের করতেই ওই প্রচেষ্টা চালায় মার্কিন সরকার। নিউ ইয়র্ক টাইমসেরই এক আইনজীবী সম্প্রতি বিষয়টি খোলাসা করেছেন।
পত্রিকাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প প্রশাসন এই আইনি পদক্ষেপের বিষয়ে টাইমসে একদমই অবহিত করেনি। অপরদিকে বাইডেন প্রশাসনও ওই লড়াই চালিয়ে যায় এই বছর পর্যন্ত। তবে এ বিষয়ে পত্রিকার কয়েকজন নির্বাহীকে সরকারের পক্ষ থেকে অবহিত করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও, এটি যেন প্রকাশ না করা হয়, সেজন্য আদালতের নির্দেশও সংগ্রহ করে বাইডেন প্রশাসন। ওই আদেশের কারণে ইমেইল সংগ্রহের ওই প্রচেষ্টা সম্পর্কে টাইমসের নির্বাহীরা নিজেদের পত্রিকার কোনো সাংবাদিককেও বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত করতে পারেননি।
ডেভিড ম্যাকক্র নামে ওই আইনজীবী বলেন, অতি সম্প্রতি একটি কেন্দ্রীয় আদালত ওই আদেশ প্রত্যাহার করে।
এ কারণেই তিনি প্রকাশ্যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে পারছেন। সরকার মূলত চেয়েছিল গুগল যেন টাইমসের ইমেইল তাদের কাছে হস্তান্তর করে। তবে গুগল এতে সম্মত হয়নি। এরপরই বিষয়টি আদালতে গড়ায়।
বাইডেনের আইন মন্ত্রণালয় সম্প্রতি ওই ৪ সাংবাদিককে বিষয়টি অবহিত করে। মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, তাদের ইমেইল সংগ্রহের চেষ্টা করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন, যার উদ্দেশ্য ছিল তাদের সূত্রের পরিচয় বের করা। এছাড়া ২০২০ সালে তাদের কয়েক বছর ব্যাপী ফোনালাপের বিস্তারিতও সংগ্রহ করে প্রশাসন। এর আগে ওয়াশিংটন পোস্ট ও সিএনএন-এর কয়েকজন সাংবাদিককেও একই রকম প্রচেষ্টার বিষয়ে অবহিত করে বাইডেন প্রশাসন। আর তার দুই দিন পরই টাইমসের আইনজীবী পুরো বিষয়টি জনসম্মুখে প্রকাশ করলেন।
টাইমসের সম্পাদক ডিন ব্যাকুয়েট উভয় প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, তাদের এই কার্যকলাম বাকস্বাধীনতার উপর আক্রমণের সামিল। তিনি বলেন, “গুগল সরকারের দাবিতে সম্মত না হয়ে সঠিক কাজ করেছে। তবে বিষয়টি এতদুর আসাই উচিৎ ছিল না।” তার ভাষ্য, ‘ট্রাম্প প্রশাসনের শেষ ১৫ দিনে বিচার মন্ত্রণালয় ক্লান্তিহীনভাবে সাংবাদিকদের সূত্রের পরিচয় খুঁজে বের করা চেষ্টা করেছে। অথচ, ওই সংবাদ জনস্বার্থে প্রচারিত হয়েছে। বাইডেন প্রশাসনও তা চালিয়ে গেছে। এই ধরণের চেষ্টা সংবাদপত্রের স্বাধীনকে নিদারুণভাবে খর্ব করে।’
টাইমসের আইনজীবী ম্যাকক্র বলেন, সূত্রের পরিচয় খুঁজে বের করার তদন্তের অংশ হিসেবে নিউ ইয়র্ক টাইমসের উপর সংবাদ প্রকাশে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নজিরবিহীন। এছাড়া টাইমসের সাংবাদিকদের অগ্রীম অবহিত করার আগে তাদের ফোন রেকর্ড সংগ্রহ করার ঘটনাও আগে কখনও ঘটেনি।
এএফ/০২