সিলেট মিরর ডেস্ক
                        জুন ১৯, ২০২১
                        
                        ০৩:০০ পূর্বাহ্ন
                        	
                        আপডেট : জুন ১৯, ২০২১
                        
                        ০৩:০০ পূর্বাহ্ন
                             	
 
                        
             
    সাতক্ষীরার উপকূলের বিস্তীর্ণ এলাকা। সেসব এলাকার অনেক গ্রাম এখনও পানির নিচে রয়েছে। মানুষ মারা গেলে সেখানে দাফনের জায়গাটুকুও অবশিষ্ট নেই অনেক পরিবারের জন্য। আর তাই লাশ দাফন করতে হয়েছে কংক্রিটের কবরে। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে সাতক্ষীরার উপকূলের এসব এলাকা।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) আশাশুনি উপজেলায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান মাহমুদুল হাসান নামে এক যুবক। মারা যাওয়ার পর তার দাফন নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়ে পরিবার। কারণ, কবর দেওয়ার জায়গাটুকুও তলিয়ে আছে পানিতে। অবশেষে ইটের তৈরি কংক্রিটের কবরে সমাহিত করা হয় তাকে।
মাহমুদুল হাসান (৩৪) আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর গ্রামের শহিদুল ইসলাম গাজীর ছেলে। তিনি একটি ওষুধ কোম্পানির বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। বৃহস্পতিবার সকালে স্ট্রোক করে মারা যান তিনি।
মাহমুদুল হাসানের স্বজনরা জানান, ইয়াসের প্রভাবে বেড়িবাঁধ ভেঙে এখনো লোকালয়ে পানি প্রবেশ করছে। গ্রামের ওপর দিয়ে জোয়ার-ভাটা বয়ে যায়। কবরস্থানগুলোও পানির নিচে রয়েছে।
উপায় না পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে আল আমিন মহিলা আলিম মাদরাসার অধ্যক্ষ মাসুম বিল্লাহ গাজীর বাড়ির সামনের রাস্তায় নামাজে জানাজা শেষে বিকল্প উপায়ে দাফন করা হয়। কবরস্থানে কবর না খুঁড়ে ইট দিয়ে কবর তৈরি করে উপরে পলিথিন দিয়ে তাকে দাফন করা হয়।
প্রতাপনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন জানান, এ অঞ্চলের মানুষের চরম দুর্দিন এখন। কেউ মারা গেলে দাফন করার জায়টুকুও নেই। এখনো বেড়িবাঁধ ভাঙা রয়েছে। গ্রামের মধ্য দিয়ে জোয়ারের পানি ওঠানামা করছে। মানুষ মারা গেলে কংক্রিটের কবর তৈরি করে দাফন করতে হচ্ছে।
আশাশুনি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অসীম বরণ চক্রবর্তী বলেন, বাঁধ মেরামত করা না গেলে এসব এলাকায় মানুষ আর বসবাস করতে পারবে না। বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়েছে উপকূলীয় এলাকা।
বিএ-১১