কমলগঞ্জে প্রতিপক্ষের ঘুষিতে একজন নিহত

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি


জুন ২১, ২০২১
০৮:৪৫ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ২১, ২০২১
০৮:৪৫ অপরাহ্ন



কমলগঞ্জে প্রতিপক্ষের ঘুষিতে একজন নিহত

জুয়েল আহমেদ

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় পূর্ববিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের কিল-ঘুষিতে মাটিতে পড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যক্তি মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২১ জুন) বেলা সোয়া ১২টায় শমশেরনগর-কমলগঞ্জ সড়কের রাফসান ফুডের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। নিহতের নাম জুয়েল আহমেদ (৪৫)। তিনি শমশেরনগর ইউনিয়নের শিংরাউলী গ্রামের মৃত তজমুল আলীর ছেলে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শমশেরনগর বাজারের সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক আহাদ মিয়ার পরিবারের সঙ্গে একই এলাকার মুকুল মিয়ার পরিবারের পূর্ববিরোধ ছিল। এ বিরোধের জের ধরে আহাদ মিয়ার সদ্য বিদেশফেরত ছেলে মুন্না মিয়া ও তার আত্মীয় তুরন মিয়ার নেতৃত্বে একদল যুবক এসে মুকুল মিয়ার ছেলে বাপ্পাকে মারধর করে। এ নিয়ে দুইপক্ষের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল আহমেদ, সাবেক ইউপি সদস্য জয়নাল আবেদীন ও আব্দুল মোহিত সন্ধ্যায় সামাজিকভাবে বসে এ ঘটনা সমাধানের আশ্বাস দেন। এতে প্রাথমিকভাবে উত্তেজনা নিরসন হয়।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরে বেলা সোয়া ১২টায় শমশেরনগর চৌমুহনায় অটোরিকশাচালক সমিতির সদস্য দুই চালকের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের কিল-ঘুষিতে মাটিতে পড়ে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান জুয়েল আহমেদ। এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে দ্রুত কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মুন্না সিনহা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানার পুলিশ লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

নিহতের চাচাতো ভাই সোহেল আহমেদ অভিযোগ করে বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। অটোরিকশার চালক মুন্না মিয়া ও তুরণ মিয়াসহ একটি সংঘবদ্ধ দল সকালে প্রথম দফায় জুয়েলের বন্ধুর ছেলে বাপ্পাকে মারধর করে। পরবর্তীতে আবার তারা অটোরিকশাচালক শারফিন মিয়ার নেতৃত্বে বাকবিতণ্ডা শুরু করে জুয়েলকে কিল-ঘুষি মারলে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এ ঘটনায় আমরা কমলগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করব।

শমশেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, ঘটনার পর ঘটনাস্থলের একটি দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তদন্ত করা হচ্ছে। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মানুষজনকে এনে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। মামলা হলে এ ফুটেজ দেখে প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।


এসডি/আরআর-০৮