ইসরাইলের টিকাগ্রহীতারা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছেন

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুন ২৬, ২০২১
০১:২৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : জুন ২৬, ২০২১
০১:২৮ পূর্বাহ্ন



ইসরাইলের টিকাগ্রহীতারা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হচ্ছেন

করোনাভাইরাসের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে সংক্রমণ বাড়ছে ইসরায়েলে। এরই মধ্যে দেশটি ঘরে মাস্ক পরার বিধি পুনরায় চালু করেছে। এমন অবস্থায় দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ইঙ্গিত দিয়েছেন, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক মানুষ করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম হারেৎজ’র এক প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে। ইসরায়েলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক চেজি লেভি জানান, টিকার পূর্ণাঙ্গ ডোজ নেওয়া মানুষেরা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।

তিনি বলেন, আক্রান্তের সংখ্যা এখনও কম হলেও টিকা নেওয়া মানুষের দেহেও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। আমরা এখনও পরীক্ষা করছি টিকা নেওয়া কতজন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ টিকা নিয়েছেন।

লেভির মতে, নতুন সংক্রমণের ৭০ শতাংশের জন্য দায়ী ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট।

টিকা নেওয়া আক্রান্তের সংখ্যা ধারণা মাত্র। সোমবার লেভি বলেছিলেন, দৈনিক নতুন আক্রান্তের এক-তৃতীয়াংশ টিকা নেওয়া মানুষ। তবে তারা পূর্ণাঙ্গ দুই ডোজ নাকি এক ডোজ নিয়েছেন তা জানাননি তিনি।

খবরে বলা হয়েছে, টিকা নেওয়া মানুষেরা আক্রান্ত হওয়ায় ইসরায়েলে উদ্বেগ ছড়াচ্ছে। তবে টিকা না নেওয়া মানুষের মতো গুরুতর সংক্রমণ হচ্ছে না।

২৩ জুন ইসরায়েলের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ নির্দেশ দেয়, করোনার উচ্চ সংক্রমণশীল ভ্যারিয়েন্টে কেউ আক্রান্ত হলে, তিনি টিকা নেওয়া মানুষ হোন অথবা একবার আক্রান্ত হয়ে সুস্থ হোন, তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। গণ হারে টিকাদানের ফলে বেশ কয়েক সপ্তাহ আক্রান্তের সংখ্যা কম থাকার পর নতুন করে তা বাড়তে শুরু করেছে।

ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট সংশ্লিষ্ট সংক্রমণ ছড়ানোর পর মঙ্গলবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেতের সতর্কতা উচ্চারণের পর কোয়ারেন্টিনে রাখার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

নতুন নির্দেশনা অনুসারে, কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে কোনও ব্যক্তি উদ্বেগজনক ভাইরাসের ভ্যারিয়েন্টবাহী কোনও ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন তাকে ১৪ দিন সেল্ফ-আইসোলেশনে থাকতে হবে। টিকা নেওয়া বা করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিরা এর আওতায় পড়বেন।

ইসরায়েলে এখন গড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১০০ জনের বেশি। মে মাসের পর সংক্রমণ সর্বোচ্চ রয়েছে।

আরসি-০৩