শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি
জুন ২৬, ২০২১
০৬:২৬ অপরাহ্ন
আপডেট : জুন ২৬, ২০২১
০৬:২৬ অপরাহ্ন
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একটি বাগানের ৬ শতাধিক লেবু গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা।
৬ বছর ধরে বাগানটি সৃজন করে ফসল বিক্রি করার ঠিক আগ মুহূর্তে গত ১৭ জুন রাতে ফলন্ত এসব লেবু ও নাগা মরিচের গাছ কেটে ফেলায় প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়ে এখন পথে বসেছেন বাগান মালিক দেলোয়ার হোসেন।
জানা গেছে, উপজেলার রাজঘাট ইউনিয়নের হরিণছড়া এলাকার মানকিছড়া ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় গত ৬ বছর আগে ৩৬ একর জায়গায় লীজ বন্দোবস্ত নিয়ে এই লেবু বাগান সৃজন করেন স্থানীয় কৃষক দেলোয়ার হোসেন।
লেবু চারার পাশাপাশি বাগানে নাগা মরিচ ও কলার চারা রোপন করেন তিনি।
শনিবার (২৬ জুন) সরেজমিনে বাগানে গিয়ে দেখা যায়, ভারত সীমান্ত ঘেষা সবুজে ঘেরা বাগানের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে কেটে ফেলা শত শত লেবু গাছ পড়ে আছে।
দুর্বৃত্তরা বাগানের লেবু গাছ কেটেই ক্ষান্ত হয়নি। লেবু গাছের ছায়ায় রোপন করা নাগা মরিচের গাছও উপড়ে ফেলা হয়েছে।
এসময় বাগান মালিক দেলোয়ার হোসেন জানান, ৬ বছর ধরে এই বাগান পরিচর্যা করে গাছগুলো করেছি।
বাগান পরিচর্যায় ভূমি উন্নয়ন, চারা কেনা, শ্রমিক খরচ, লীজ মানি সবমিলে বাবদ প্রায় ২০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। এখন চারাগুরোতে ফুল ও ফল আসতে শুরু করেছে।
গত বছর অল্প কিছু ফল পাওয়া গেলেও এবার ফল বিক্রি করে ভালো লাভের আশায় দিন গুনছিলাম। ঠিক এসময় কে বা কারা ফলন্ত লেবু ও নাগা মরিচের গাছ কেটে ফেলেছে।
সব হারিয়ে পথে বসার উপক্রম দেলোয়ার হোসেন বিচার চেয়ে এখন মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।
কারা এ চারাগুলো কাটতে পারে? এমন প্রশ্ন করা হলে বাগান মালিক দেলোয়ার হোসেন বলেন, তার বাগানের আশে পাশে আরো ৪টি বাগান রয়েছে। তার বাগানটি মধ্যেখানে। ১৭ জুন বিকাল ৪টায় দৈনিক শ্রমিকদের কাজ শেষে বাগান থেকে চলে আসে।
পরদিন ১৮ জুন সকালে গিয়ে বাগানে গিয়ে এ অবস্থা দেখতে পান। কে বা কারা বাগানের গাছ কেটেছে তা তিনি জানেন না বলে জানান।
তিনি জানান, লেবু পরিবহন নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে স্থানীয় এক প্রভাবশালীর সাথে তার বিরোধ চলে আসছিল। তবে কারা এই তার লেবু চারা কেটেছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তিনি। তিনি প্রশ্ন করেন, যারাই এই কাজ করুক, গাছের সাথে এ কেমন শত্রুতা?
জানতে চাইলে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি (অপারেশন) নয়ন কারকুন বলেন, এ নিয়ে কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জি কে/বি এন-০৪