টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের ৪৫ সপ্তাহের ব্যবধানে ফল চমৎকার

সিলেট মিরর ডেস্ক


জুন ২৮, ২০২১
০৮:২৯ অপরাহ্ন


আপডেট : জুন ২৮, ২০২১
০৮:২৯ অপরাহ্ন



টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের ৪৫ সপ্তাহের ব্যবধানে ফল চমৎকার
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা


অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলে বলে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় উঠে এসেছে। তবে বিশ্বের অনেক দেশে যখন ভ্যাকসিনের ঘাটতি চলছে তখন অতিরিক্ত তৃতীয় ডোজ প্রয়োগের আদৌ দরকার আছে কি-না সে সম্পর্কে কোনও প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।

অক্সফোর্ডের গবেষণায় দেখা গেছে, ভ্যাকসিনটির তৃতীয় ডোজ শরীরে অ্যান্টিবডি এবং টি-সেলের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এছাড়া প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজের ব্যবধান ৪৫ সপ্তাহ অর্থাৎ ৩১৫ দিন পর্যন্ত হতে পারে এবং এটি শরীরে শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

যুক্তরাজ্যের প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকদের তিন-পঞ্চমাংশই ইতোমধ্যে কোভিড ভ্যাকসিনের উভয় ডোজ পেয়েছেন। দেশটির সরকার আগামী শরতের মধ্যে ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপের পরিচালক অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেছেন, করোনাভাইরাসের উদ্ভূত ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে বর্তমান ভ্যাকসিনগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সুরক্ষা দেয় বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর অর্থ এ ধরনের বুস্টার ডোজের দরকার নাও হতে পারে।

সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমাদের এমন অবস্থানে থাকতে হবে যেন প্রয়োজন হলে আমরা বুস্টার ডোজ ব্যবহার করতে পারি। কিন্তু বর্তমানে আমাদের কাছে এ ধরনের কোনও প্রমাণ নেই যে এটির দরকার আছে।

‌‘এই মুহূর্তে যুক্তরাজ্যের জনগোষ্ঠীর মধ্যে একটি উচু স্তরের সুরক্ষা আছে এবং এটি ক্ষয়ে যাওয়ার কোনও প্রমাণ নেই। অন্য দেশে যেখানে টিকার ডোজ এখনও শূন্য, সেখানে যুক্তরাজ্যে তৃতীয় ডোজ দেওয়াটা গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।’

এর আগের গবেষণায় অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবিত অ্যাস্ট্রাজেনেকার লাইসেন্সকৃত কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনটি চার সপ্তাহের পরিবর্তে ১২ সপ্তাহের ব্যবধানে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হলে তাতে উচ্চ কার্যকারিতার প্রমাণ মিলেছে।

সোমবার অক্সফোর্ডের এই গবেষণার একটি প্রি-প্রিন্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এই গবেষণায় অংশ নেওয়া ৩০ জন স্বেচ্ছাসেবী যারা দেরীতে দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছিলেন এবং অন্য ৯০ জন তৃতীয় ডোজ নেন— তাদের শরীরে কি ধরনের প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে সেটি দেখা হয়েছে। অক্সফোর্ডের এই ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেকের বয়স ৫৫ বছরের নিচে।

অ্যাস্ট্রাজেনেকা, জনসন অ্যান্ড জনসনের মতো ভাইরাল ভেক্টর কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের প্রতিরোধ ক্ষমতা ফুরিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় এবং এই ভ্যাকসিনের জিনগত তথ্য সরবরাহ করে এমন ভেক্টরগুলোর বিরুদ্ধে শরীর প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে পারে এমন ঝুঁকির কারণে প্রত্যেক বছর টিকা প্রয়োগ করতে হবে কি-না সেই উদ্বেগে আশ্বাস জুগিয়েছে অক্সফোর্ডের এই গবেষণা।

অক্সফোর্ডের জেনার ইনস্টিটিউটের গবেষক তেরেসা ল্যাম্বে বলেন, বুস্টার টিকাদান কর্মসূচিতে আমরা এই ভ্যাকসিনটি ব্যবহার করতে পারবো কি-না সেটি নিয়ে কিছু উদ্বেগ ছিল। কিন্তু গবেষণার তথ্য উপাত্তে সেই শঙ্কা কেটে গেছে।

সূত্র: রয়টার্স


এএফ/০৩