শ্রীমঙ্গলে আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে অপপ্রচারের বিচার দাবি

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি


জুলাই ১৫, ২০২১
১১:২১ অপরাহ্ন


আপডেট : জুলাই ১৫, ২০২১
১১:২১ অপরাহ্ন



শ্রীমঙ্গলে আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে অপপ্রচারের বিচার দাবি

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে আশ্রয়ণ প্রকল্প নিয়ে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার আশিদ্রোন ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য ফারুক আহমেদ।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সংবাদ সম্মেলনে ফারুক আহমেদ বলেন, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের মোহাজিরাবাদ প্রকল্প নিয়ে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে আমার বিরুদ্ধে ১০ হাজার করে অর্থ নেওয়ার মিথ্যাচার করা হয়েছে। গত ৫-৬ দিন পূর্বে বেগুনবাড়ি প্রকল্পে গিয়ে গণমাধ্যমকর্মী পরিচয়ে তিমির বণিক ও আরও কয়েকজন সুবিধাভোগীদের ‘ভাঙা ঘর, চাল দিয়ে পানি পড়ে’ এসব কথা শিখিয়ে বক্তব্য গ্রহণ ও বিদ্যুতের লাইনের ছিদ্র খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে বড় করে ছবি তোলে। পরে শিখিয়ে দেওয়া এসব বক্তব্য ও ছবি প্রচার করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জনগুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্প নিয়ে মিথ্যাচার করে।

ইউপি সদস্য ফারুক আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্পে বিনামূল্যে দরিদ্র ভূমিহীনদের ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে। এখানে কারও কাছ থেকে কোনো প্রকার অর্থ নেওয়ার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, সম্প্রতি ফাহিমা নামের এক সুবিধাভোগীকে অনলাইন প্রেসক্লাব নামের একটি সংগঠনের অফিসে ডেকে বরাদ্দ বাতিলের ভয় দেখিয়ে তিমির বণিক ও তার অপর সহযোগী মিথ্যা তথ্য ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী সুবিধাভোগী অভিযোগ করেন, তিমির বণিক নিজেকে ঢাকার বড় সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে গোপনে ভিডিও ধারণ করে তার ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দেন। আমরা ২টি ঘর পেয়েছি এমন মিথ্যা তথ্য দিয়ে ১০ হাজার টাকাও দাবি করেন।

ফাহিমা বেগম বলেন, ২০১৬ সালে জায়গা আছে ঘর নেই এমন একটি সরকারি প্রকল্পে আমার বাবা আলী হোসেন শেখ একটি টিনশেডের ঘর বরাদ্দ পান। তিনি মারা যাওয়ার পর মা সেখানে বসবাস করছেন। বর্তমানে আমি এবং আমার দরিদ্র ভূমিহীন ভ্যানচালক স্বামী মো. জাকির হোসেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর বরাদ্দ পেয়েছি।

ইউপি সদস্য সংবাদ সম্মেলনে জানান, আশ্রয়ণ প্রকল্পের জমি উদ্ধারকালে দীর্ঘদিন যাবত সেখানে হালিমা বেগম ও তার বিবাহিত ছেলে কাইয়ূম মিয়ার আলাদা দুটি পরিবারের ৩টি বসতঘর ছিল। সরকারি খাস জমি উদ্ধার অভিযানের ফলে পরিবার দুটি গৃহহীন হয়ে পড়ে। প্রশাসন থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুধু হালিমা বেগমকে একটি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে করে হালিমা বেগমের ছেলে কাইয়ুম মিয়া ভূমিহীন হলেও প্রশাসন থেকে তাকে কোনো ঘর দেওয়া হয়নি। 

সংবাদ সম্মেলনে বীরঙ্গনা শীলা গুহসহ ১০-১২ জন সুবিধাভোগী উপস্থিত ছিলেন।


জিকে/আরআর-০৭