বড়লেখা প্রতিনিধি
জুলাই ১৭, ২০২১
১২:২৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : জুলাই ১৭, ২০২১
১২:২৪ পূর্বাহ্ন
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় স্বামীর দেওয়া আগুনে দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে মারা যাওয়া রহিমা বেগমের (২০) মরদেহ দাফন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) রাতে উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামে তার লাশ দাফন করা হয়। এর আগে গতকাল বিকেলে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গত বুধবার (১৪ জুলাই) রাত ১০টায় রহিমা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত রহিমা বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের রফিক উদ্দিনের মেয়ে।
লাশ দাফনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রহিমার ছোট ভাই রাজু আহমদ। শুক্রবার (১৬ জুলাই) বিকেলে তিনি মুঠোফোনে বলেন, আমার বোনকে বৃহস্পতিবার রাতে দাফন করা হয়েছে।
বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার মুঠোফোনে বলেন, নিহত রহিমার ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
নিহত রহিমার পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, স্বামী ও তার পরিবারের লোকজনের নির্যাতন সইতে না পেরে প্রায় ৭ মাস আগে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন রহিমা বেগম। গত ৪ জুলাই ভোররাতে বাবার বাড়িতে ঘুমন্ত অবস্থায় রহিমার গায়ে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন তার স্বামী শিপন আহমদ। ঘটনার পরই শিপন পালিয়ে যান। আগুনে রহিমার হাত-মুখসহ শরীরের প্রায় ৬৩ শতাংশ পুড়ে যায়। রহিমার চিৎকার শুনে স্বজনরা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই রাতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়। সেখান থেকে আবার তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর ওই হাসপাতালে রহিমার চিকিৎসা চলছিল। বুধবার রাত ১০টার দিকে রহিমা বেগম সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে রহিমার গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তার ভাই রাজু আহমদের করা মামলায় রহিমার স্বামী শিপন আহমদ এবং শ্বাশুড়ি আনুরি বেগমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। শিপন আহমদ উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের আরেঙ্গাবাদ গ্রামের মুকুল মিয়ার ছেলে।
এজে/আরআর-০৭