কুলাউড়া প্রতিনিধি

জুলাই ২৬, ২০২১
০৭:৩৫ অপরাহ্ন

আপডেট : জুলাই ২৬, ২০২১
০৭:৩৫ অপরাহ্ন

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নে প্রতিবন্ধী মেয়েসহ মায়ের রহস্যজনক নিখোঁজের ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। একটি মহল ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে। নিখোঁজ মেয়ের ফুফু সিতারুন বেগম কুলাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানিয়েছে কুলাউড়া থানার ওসি বিনয় ভুষন রায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কর্মধা ইউনিয়নের টাট্রিউলি গ্রামের বাসিন্দা মালিকা নানা অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত। তার প্ররোচনায় পড়েন প্রতিবন্ধী জমির আলীর স্ত্রী ও প্রতিবন্ধী মেয়ে। প্রায় ৩ বছর থেকে স্বামীর বাড়ি ছেড়ে জমির আলীর স্ত্রী তার মেয়েকে নিয়ে মালিকার বাড়িতে থাকছিলেন। এর পেছনে মালিকার ইন্ধন ছিল। ঈদের ২-৩ দিন আগে মালিকা ও জমির আলীর স্ত্রী মিলে রক্তমাখা বেশকিছু কাপড়-চোপড় বাড়ির পাশের একটি টিলায় মাটিচাপা দেন।

এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় শুরু হয় নানা গুঞ্জন। বিষয়টি জানাজানি শুরু হলে টাট্রিউলি গ্রামের লোকজন গত শুক্রবার (২৩ জুলাই) মালিকাকে মসজিদে হাজির হয়ে বিস্তারিত জানানোর জন্য বলেন। কিন্তু মালিকা মসজিদে উপস্থিত না হয়ে জমির আলীর স্ত্রী ও প্রতিবন্ধী মেয়েকে বাড়ি থেকে গোপন স্থানে পাঠিয়ে দেন। এতেই শুরু হয় তোলপাড়।

স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, মালিকা ও জমির আলীর স্ত্রী মিলে প্রতিবন্ধী মেয়েকে দিয়ে জোরপূর্বক দেহব্যবসায় বাধ্য করেন। ঘটনা জানাজানি হয়ে যাওয়ার ভয়ে মা ও মেয়েকে গোপন স্থানে পাঠিয়ে দিয়েছেন মালিকা।

কর্মধা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও টাট্রিউলি মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মছদ্দর আলী বলেন, আমি লোকমুখে বিষয়টি জেনেছি। জানার পর গত শুক্রবার মসজিদে উপস্থিত হওয়ার জন্য খবর দিয়েছি। কিন্তু তারা মসজিদে উপস্থিত হয়নি। 

এদিকে গতকাল রবিবার (২৫ জুলাই) জমির আলীর বোন সিতারুন বেগম কুলাউড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভুষন রায় জানান, সিতারুন বেগম লিখিত অভিযোগে মালিকা তার এবং তার স্বামীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন।

জেএইচ/আরআর-০৮