বড়লেখা প্রতিনিধি
আগস্ট ০২, ২০২১
১১:৪৯ অপরাহ্ন
আপডেট : আগস্ট ০৩, ২০২১
১২:৫৫ পূর্বাহ্ন
হাকালুকি হাওরের মৌলভীবাজারের বড়লেখা অংশের জলমহাল ও বিভিন্ন বিলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালিয়ে প্রায় ১৬০ মিটার অবৈধ বেড় জাল ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে।
সোমবার (২ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত প্রায় ৮ ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযান চালানো হয়। তবে প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে মাছ শিকারীরা পালিয়ে যায়। এ কারণে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন বড়লেখা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী। এতে সহায়তা করেছে বড়লেখা থানার পুলিশ।
জানা যায়, হাকালুকি হাওরের বড়লেখা অংশের জল্লা, ফাড় জল্লা, বালিঝুরি গ্রুপবদ্ধ জলমহাল ও পিংলা, মাইছলা, পলোভাঙ্গাসহ বিভিন্ন বিল থেকে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে নিষিদ্ধ বেড় জাল ও কারেন্ট জাল দিয়ে শিকারীরা মাছ শিকার করছে। এতে হাওরে মাছের প্রজননের হার কমছে। পাশাপাশি হাওরের জীববৈচিত্র্য নষ্ট হচ্ছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকাল ৮টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলীর নেতৃত্বে হাওরে অভিযান চালানো হয়। এ সময় হাওরের জল্লা, ফাড় জল্লা, বালিঝুরি গ্রুপবদ্ধ জলমহাল থেকে নিষিদ্ধ ১০৫ মিটার অবৈধ বেড় জাল এবং হাওরের পিংলা, মাইছলা, পলোভাঙাসহ বিভিন্ন বিল থেকে প্রায় ৬০ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। তবে প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে মাছ শিকারীরা পালিয়ে যায়। ফলে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। জব্দ করা জালগুলো বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
বড়লেখা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী সোমবার বিকেলে বলেন, হাওরে মাছের প্রজনন ও বাস্তুসংস্থান বিনষ্ট করে অবৈধ জালের ব্যবহার বন্ধের পাশাপাশি ইজারাবিহীন সরকারি জলমহালে অবৈধভাবে মাছ আহরণ বন্ধ করার লক্ষ্যে হাকালুকি হাওরে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে বেশ কিছু বেড় জাল ও কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে। পরে জালগুলো পোড়ানো হয়েছে।
তিনি জানান, হাকালুকির জীববৈচিত্র্য রক্ষায় উপজেলা প্রশাসন বদ্ধপরিকর। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এজে/আরআর-০৭