কমলগঞ্জে চা-বাগানে হলো আইসোলেশন সেন্টার

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি


আগস্ট ০২, ২০২১
০৮:৩৩ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ০২, ২০২১
০৮:৩৩ অপরাহ্ন



কমলগঞ্জে চা-বাগানে হলো আইসোলেশন সেন্টার

দেশের বাকি অংশের মতো চা-বাগানেও ঝড়ের গতিতে করোনার সংক্রমণ বাড়ছে। শয্যার সংখ্যা বাড়িয়েও রোগীর চাপ সামলাতে নাজেহাল জেলার হাসপাতালগুলো। চা-বাগানে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের শমশেরনগর চা-বাগানে চা শ্রমিকদের করোনা সুরক্ষা, শমশেরনগর চা-বাগান টিম বাগান কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে এবং Awareness with Human Action (AHA) এর সহযোগিতায় চা-বাগানে আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।

গত জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ও চা-শ্রমিকদের মধ্যে করোনা সংক্রমিত হওয়ায় কমলগঞ্জের শমশেরনগর চা-বাগানে চা ছাত্র-যুব পরিষদ, জাগরণ যুব ফোরাম ও চা-বাগান পঞ্চায়েত কমিটি স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য চা-বাগান এলাকায় মাইকিং শুরু করে। তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা সংক্রমিতদের ঘরে পুষ্টিসম্পন্ন খাদ্য পৌঁছে দেয়। করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের ১৪ দিন হোম আইসোলেশনে থাকারও পরামর্শ দেয় তারা।

সম্প্রতি শমশেরনগর চা-বাগানে চা শ্রমিকদের করোনা সুরক্ষা, শমশেরনগর চা-বাগান টিম গঠন করে ব্রিটিশ কোম্পানি ডানকান ব্রাদার্সের শমশেরনগর চা-বাগানের ব্যবস্থাপকের সঙ্গে আলোচনা করে স্থানীয় চা-বাগানের পুরাতন হাসপাতাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে সেখানে ৬টি শয্যা স্থাপন করে নিজেদের আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করা হয়। এ সেন্টারে সাহায্য হিসেবে পাওয়া অক্সিজেন সিলিন্ডারও রাখা হয়েছে।

চা শ্রমিকদের করোনা সুরক্ষা, শমশেরনগর চা-বাগান টিমের সমন্বয়ক ছাত্রনেতা মোহন রবিদাস বলেন, আমরা সচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছি অনেক আগে থেকেই। বাগানের পুরাতন হাসপাতাল ভবন ব্যবহার করে একটি আইসোলেশন সেন্টার স্থাপন করেছি। কোনো ঘরে কেউ করোনায় আক্রান্ত হলে তাকে এ সেন্টারে এনে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ডানকান ব্রাদার্সের চিকিৎসক ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, চা-বাগানের ব্যাবস্থাপনায় আমরা ৬টি শয্যার নিজেদের আইসোলেশন সেন্টার করে রাখলাম। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে এটি ব্যবহার করা হবে। এখানে অক্সিজেনের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। 

শমশেরনগর চা-বাগানের ব্যবস্থাপক মো. জাকির হোসেন বলেন, ধরে নিতে পারেন আমাদের পুরো বাগানটাই আইসোলেশন করা। এখানে বাইরের কেউ ঢুকতে পারে না, আবার প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে যায় না। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে আমরা বাগান পঞ্চায়েত কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে সচেতনতামূলক মাইকিং ও ক্যাম্পিং করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমাদের পুরাতন হাসপাতাল ভবনে ৬ শয্যার আইসোলেশন সেন্টার প্রস্তুত করে রেখেছি। আগামী ৭ আগস্ট থেকে চা শ্রমিকদের টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে। আমরা চেষ্টা করব আমাদের ক্যাম্পে টিকা এনে দেওয়া যায় কি না।


এসডি/আরআর-০৯