বড়লেখা সরকারি কলেজের ভুলে উপবৃত্তি পায়নি ২৩০ শিক্ষার্থী

বড়লেখা প্রতিনিধি


আগস্ট ১২, ২০২১
০৫:১৬ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ১২, ২০২১
১০:৪০ অপরাহ্ন



বড়লেখা সরকারি কলেজের ভুলে উপবৃত্তি পায়নি ২৩০ শিক্ষার্থী
ভুল অপশনে ডাটা এন্ট্রি

মৌলভীবাজারের বড়লেখা সরকারি (ডিগ্রী) কলেজ কর্তৃপক্ষ (শিক্ষা অধিদপ্তর) ভুল অপশনে ডাটা এন্ট্রি দেওয়ার কারণে সমন্বিত (এইচএসপি) উপবৃত্তি পায়নি ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির নির্বাচিত  ২৩০ জন শিক্ষার্থী। 

সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির প্রোগ্রামার বরাবরে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঠিক ওয়েবসাইটে ডাটা এন্ট্রির আবেদন করেও কোনো সমাধান হয়নি। 

এতে প্রত্যেক শিক্ষার্থী প্রায় ১৮ হাজার টাকার উপবৃত্তি প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হলো। এ উপবৃত্তির টাকা প্রদানের ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থী অভিভাবকরা। 

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে ষষ্ঠ হতে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত মেধাবী, দুস্থ, দরিদ্র-অসহায় ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের সমন্বিত (হারমোনাইজড স্টাইপেন্ড প্রোগ্রাম) উপবৃত্তি দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়। 

বড়লেখা সরকারি (ডিগ্রী) কলেজের ২০১৯-২০২০ শিক্ষাবর্ষের একাদশ শ্রেণির ২৩০ জন শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তির জন্য নির্বাচিত করা হয়। 

নর্বাচিত শিক্ষার্থীদের তথ্যাদি কলেজ কর্তৃপক্ষ অনলাইনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের এইচএসপি অপশনে এন্ট্রি করার কথা। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ গত বছরের অক্টোবরে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তথ্যাদি সাধারণ বৃত্তির অপশনে এন্ট্রি দিয়েছে। 

এতে সমন্বিত উপবৃত্তি কর্মসূচির (এইচএসপি) অপশনে সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের কোনো তথ্য যায়নি।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিভাবক দিলীপ বিশ্বাস, কার্তিক দাস, চিত্ত বিশ্বাস, বিশ্বজিৎ বিশ্বাস প্রমুখ অভিযোগ করে বলেন, অনেক টানাপোড়নের মধ্যে তারা সন্তানদের কলেজে লেখাপড়া করাচ্ছেন। অন্যান্য কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রায় ১৮ হাজার টাকা করে উপবৃত্তি পেয়েছে। কলেজ কর্তৃপক্ষের ভুলে তাদের ছেলে-মেয়েরা সরকারের দেওয়া বিরাট অঙ্কের উপবৃত্তি প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হলো। এ টাকা করোনাকানালীন সময়ে তাদের কত না উপকারে আসতো। তারা সমন্বিত উপবৃত্তির টাকা প্রদানের ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি জোর দাবী জানান।

এ ব্যাপারে বড়লেখা সরকারি ডিগ্রী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জায়েদ আহমদ বলেন, ঘটনাটি ধরা পড়ার সাথেই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের ফরোয়াওয়ার্ডিংসহ গত ১৪ জানুয়ারি প্রকল্পের স্কিম পরিচালক বরাবরে হার্ডকপিসহ সংশোধনের আবেদন করা হয়। এরপর সংশ্লিষ্টরা সংশোধনের আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।    

    

এ.জে/বি এন-০৫