আলোকিত হচ্ছে মৌলভীবাজারের ২৮ কিলোমিটার সড়ক

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি


আগস্ট ১৪, ২০২১
০৮:২১ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ১৪, ২০২১
০৮:২১ অপরাহ্ন



আলোকিত হচ্ছে মৌলভীবাজারের ২৮ কিলোমিটার সড়ক

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার ভূয়াই বাজার থেকে বড়লেখা উপজেলার চান্দগ্রাম বাজার পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়কে সৌর সড়কবাতি স্থাপনের কাজ চলছে।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকারের ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এ আঞ্চলিক মহাসড়কে ৩০ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এসব সড়কবাতি স্থাপন করা হচ্ছে।

জানা যায়, পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ) কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে মৌলভীবাজার জেলার অন্তর্গত জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় কার্বন নির্গমন হ্রাস ও পরিবেশ উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় আঞ্চলিক মহাসড়কে সড়কবাতি বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। প্রকল্পটি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের 'বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট' এর অর্থায়নে পল্লী দারিদ্র বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ) কর্তৃক বাস্তবায়িত হচ্ছে।

প্রকল্প সূত্রে আরও জানা যায়, এ প্রকল্পের মাধ্যমে জুড়ী ও বড়লেখা উপজেলায় ৩০ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মোট ৩৭৩টি সৌর বিদ্যুতায়িত সড়কবাতি স্থাপন করা হবে। একটি সড়কবাতি থেকে আরেকটি সড়কবাতির দূরত্ব থাকবে ৭৬ মিটার।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, এই এলাকায় পাহাড়ি আঁকাবাঁকা আঞ্চলিক মহাসড়ক থাকায় রাতের বেলা অন্ধকার হয়ে যায়। এর ফলে অনেক দুর্ঘটনা ঘটে এই সড়কে। এই সড়ক আলোকিত হলে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কবাতি স্থাপনের কাজ জোরেশোরে চলছে। এতে করে এ সড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও যানবাহনের চালকগণ সবচেয়ে বেশি সুফল পাবেন। বিশেষ করে এ আঞ্চলিক মহাসড়কের দুইপাশে থাকা ঘরগুলোও এ প্রকল্পের মাধ্যমে আলোকায়নের আওতায় এসেছে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ সকল সচেতন মহল বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিনকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধন্যবাদ জানাচ্ছেন।

এ সড়কে চলাচলকারী কয়েকজন চালক জানান, আগে এ সড়ক অন্ধকার থাকায় অনেক সময় আমরা দুর্ঘটনার শিকার হতাম। বর্তমানে এ সড়কে সৌর বিদ্যুতায়িত সড়কবাতি স্থাপন করার ফলে দুর্ঘটনার হাত থেকে আমরা রক্ষা পাব।

এ বিষয়ে জুড়ী উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাশ বলেন, সড়কবাতি স্থাপন করার ফলে দিনের আলোর মতো আলোকিত হবে সড়ক। পাহাড়ি ও আঁকাবাকা এ আঞ্চলিক মহাসড়কে ঝলমলে আলোর ব্যবস্থা করায় দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে আসবে। মাননীয় পরিবেশমন্ত্রীর নির্দেশনার পরপরই জুড়ী শহরকে আমরা আলোকিত করব।

পরিবেশমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রীর কাছে আমাদের দাবি হলো আগামীতে যাতে গ্রামঞ্চল আলোকিত করার জন্য এ রকম উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে জুড়ী-বড়লেখা-১ আসনের সংসদ সদস্য এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার 'গ্রাম হবে শহর' পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে শহরের মতো দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সড়কও সৌরবাতির মাধ্যমে আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সরকারের স্লোগান 'শেখ হাসিনার উদ্যোগ, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ' এখন আর শুধুই স্লোগান নয়, সরকার এটা বাস্তবায়ন করেছে।

মন্ত্রী বলেন, জীবাশ্ম জ্বালানির বহুল ব্যবহার বায়ুমন্ডলে গ্রিনহাউজ গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধি করছে, যা বৈশ্বিক উষ্ণায়নের জন্য দায়ী। সরকার এজন্য সৌরশক্তিসহ বিভিন্ন ধরনের নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের অর্থায়নে দেশের বিভিন্ন স্থানে সৌরবিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল প্রত্যন্ত অঞ্চলের এ ধরনের সড়কে সড়কবাতি স্থাপন করা হবে।


এসএইচ/আরআর-০৬