জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই পক্ষের মামলা

কুলাউড়া প্রতিনিধি


আগস্ট ২২, ২০২১
০৬:৫৩ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ২২, ২০২১
০৬:৫৩ অপরাহ্ন



জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই পক্ষের মামলা
১৭ দিনেও গ্রেপ্তার নেই

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ভূইগাঁও (মানগাঁও) গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের সশস্ত্র হামলায় ছেলেকে রক্ষা করতে গিয়ে আহত হয়েছেন মা। গত ৩১ জুলাই দুপুরে এ ঘটনা ঘটলেও ৫ আগস্ট ৭ জনকে আসামি করে কুলাউড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলার ১৭ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। অপরদিকে প্রতিপক্ষ একটি হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেছে বলে অভিযোগ করছেন মামলার বাদী মোতাহের হোসেন।

মামলা সূত্র ও জমির মলিক মখদ্দছ আলী জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে জমির মালিকানা দাবি করে পার্শ্ববর্তী বাসিন্দা মজম্মিল আলী ও আকমল আলীর নেতৃত্বে ৬/৭ জন লোক সন্ত্রাসী কায়দায় ধারালো দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা জমি দখল করে হালচাষ করার জন্য চেষ্টা চালায়। এ সময় বাধা দিতে গেলে সন্ত্রাসীরা তিনি ও আমার ফুপাতো ভাই রুবেলের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীদের বাধা দিতে গেলে রেজিয়া বেগমের (৪৫) শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে হামলা চালিয়ে মাথায় আঘাত করে ডান হাত ভেঙে দেয় হামলাকারীরা। এ সময় ৩০ হাজার টাকার স্বর্ণালঙ্কার লুটে নেয় তারা। এ ঘটনায় মখদ্দছ আলীর ফুপাতো ভাই মো. মোতাহের হোসেন বাদী হয়ে ৫ আগস্ট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলার ১৭ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। উল্টো প্রতিপক্ষ দুইদিন তাদের ওপর মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেছে। এ মামলায় প্রতিপক্ষের আকমল আলীকে (৩৫) আহত সাজিয়ে টিলাগাঁও ইউনিয়নের নয়াবাজারে স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক আপ্তাব আলীর কাছে চাপ দিয়ে চিকিৎসা নিয়ে জোর করে মাথায় দুটি সেলাই দেওয়ানো হয়। পরে মামলার সুবিধার জন্য কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তাকে ভর্তি করা হয়।

এ ব্যাপারে নয়াবাজার এলাকার পল্লী চিকিৎসক আপ্তাব আলী বলেন, দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে বলে আপ্তাব আলীকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেই। পরে রোগীর স্বজনদের চাপে রোগীকে দুটি সেলাই দিয়েছি। পুলিশও আমার বক্তব্য গ্রহণ করেছে।

অপরদিকে প্রতিপক্ষ রেলী খানম বাদী হয়ে থানায় পাল্টা একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে রেলী খানম জানান, প্রতিপক্ষের লোকজন সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ভাতিজা আকমল আলীকে আহত করায় থানায় মামলা করেছি।

দুটি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার এসআই মো. মহসীন তালুকদার বলেন, এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মামলা দুটি তদন্তাধীন আছে। একটি মামলায় ৬ জন আসামি আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় দুই পক্ষের লিখিত অভিযোগ মামলা হিসেবে রেকর্ড করা হয়েছে। মামলা দুটি তদন্তাধীন আছে।


জেএইচ/আরআর-০৫