কুলাউড়ায় দখলে ৩০০ একর জমি, বিপাকে কৃষকরা

জিয়াউল হক জিয়া, কুলাউড়া


আগস্ট ২৪, ২০২১
০৮:১২ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ২৪, ২০২১
০৮:১২ অপরাহ্ন



কুলাউড়ায় দখলে ৩০০ একর জমি, বিপাকে কৃষকরা

মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের ইছলাছড়ার পাড় জবরদখল করে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তি বাড়ির সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করায় বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। ওই ছড়ার পাড় দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়ায় পশ্চিম সিঙ্গুর থেকে কালিয়ারগড় মাঠের ৩০০ একর জমির পাকা ধান কেটে ঘরে তোলা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ওই মাঠে যাওয়ার রাস্তা (ছড়ার পাড়) দখলমুক্ত করে কৃষকদের পাকা ধান কাটার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ৬০ জন কৃষক গত রবিবার কুলাউড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন।

সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে বরমচাল ইউনিয়নের সিঙ্গুর ও খাদিমপাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুর রহিম, আব্দুল লতিফ, আক্তার আলী, মোবারক আলী, ফারুক মিয়া, সহিদ আলী, এন্তাজ আলী, সাবির উদ্দিন, সুমন আহমদ, রজব আলী, মরতুজ আলী, আকরাম আহমদ, আব্দুল কাইয়ুম ও রাহেল আহমদ জানান, পশ্চিম সিঙ্গুর থেকে কালিয়ারগড় মাঠে ৩০০ একর জমিতে কৃষিকাজ করতে হবিব উল্যাহর বাড়ির পাশ দিয়ে যাতায়াত করতেন তারা। সম্প্রতি হবিব উল্যাহ বাড়ির সীমানা প্রাচীর পাকা করায় যাতায়াতের সেই রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যায়। কৃষকরা কোনো উপায় না পেয়ে পাহাড়ি ইছলাছড়ার পাড়কে রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করার উদ্যোগ নেন। কিন্তু হবিব উল্যাহ পরিকল্পিতভাবে সরকারি ছড়ার পাড়টি জবরদখল করে বাড়ির সীমানা প্রাচীরের ভেতরে ঢুকিয়ে কৃষকদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেন।

ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগে কৃষকরা উল্লেখ করেন, হবিব উল্যাহ সীমানা প্রাচীর নির্মাণের সময় এলাকার মানুষ এমনকি বরমচাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যরা বাধা দেন। কিন্তু তিনি কারও বাধা শোনেননি। ফলে ভুক্তভোগী কৃষকরা যাতায়াতের সুবিধার্থে ইছলাছড়ার পাড়টি জবরদখলমুক্ত করার জন্য কুলাউড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য, কুলাউড়া উপজেলার চেয়ারম্যান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবরে আবেদনের অনুলিপিও দিয়েছেন তারা।

বরমচাল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম খান বলেন, আমি বিষয়টি সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছি। কৃষকদের সুবিধার্থে কিছু জায়গা ছাড়িয়ে দেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। কিন্তু হবিব উল্যাহ তাতে অনড়। সরকারি ছড়া জবরদখলমুক্ত করার ব্যাপারে আমি উদ্যোগ নেব।

অভিযুক্ত হবিব উল্যাহর সঙ্গে কথা বলতে তার বাড়িতে গেলে তিনি এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কোনো কথা না বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।

এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, কৃষকদের এ সমস্যা সমাধানের জন্য সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) পাঠিয়ে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


জেএইচ/আরআর-০২