কাবুল বিমানবন্দরে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আরেকটি হামলার আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের

সিলেট মিরর ডেস্ক


আগস্ট ২৯, ২০২১
০১:০৩ অপরাহ্ন


আপডেট : আগস্ট ২৯, ২০২১
০১:০৩ অপরাহ্ন



কাবুল বিমানবন্দরে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আরেকটি হামলার আশঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের

আফগানিস্তানের কাবুল বিমানবন্দরে আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আরেকটি হামলার আশঙ্কা করছে যুক্তরাষ্ট্র। শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, সামরিক কমান্ডাররা তাকে জানিয়েছেন, রবিবারই এই হামলা হতে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কমান্ডাররা আমাকে জানিয়েছেন আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে হামলার জোরালো আশঙ্কা রয়েছে। আমি তাদেরকে বাহিনীর সুরক্ষার বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিয়ে সম্ভাব্য সব ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’

‘সুনির্দিষ্ট ও বিশ্বাসযোগ্য হুমকি’ থাকায় মার্কিন নাগরিকদের বিমানবন্দর এলাকা এড়িয়ে চলার জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর।

এর আগে গত ২৬ আগস্ট কাবুল বিমানবন্দরের কাছে এক আত্মঘাতী বোমা হামলায় ১৩ মার্কিন সেনাসহ অন্তত ১৭০ জনের মৃত্যু হয়। জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসের আঞ্চলিক শাখা ইসলামিক স্টেট ইন খোরাসান (আইএস-কে) ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে। পাল্টা জবাব হিসাবে শুক্রবারে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় ড্রোন হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে শীর্ষস্থানীয় দুই জন আইএস-কে নেতাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

এই দুইজন ব্যক্তি পরিকল্পনাকারী ও পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারী বলে বর্ণনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তবে কাবুল বিমানবন্দরে হামলার সঙ্গে তারা সরাসরি জড়িত ছিলেন কিনা, তা পরিষ্কার নয়।

শনিবার এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, এই ড্রোন হামলাই শেষ নয়। জঘন্য ওই হামলার সঙ্গে যে বা যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।

আফগানিস্তানের সবচেয়ে চরমপন্থী ও সহিংস জঙ্গি গ্রুপ হচ্ছে আইএস-কে। দেশটির বেশিরভাগ এলাকা নিয়ন্ত্রণকারী তালেবানের সঙ্গে তাদের বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে। তাদের অভিযোগ, আমেরিকানদের সঙ্গে শান্তি আলোচনা করে যুদ্ধক্ষেত্র পরিত্যাগ করেছে তালেবান।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ড্রোন হামলার নিন্দা জানিয়েছে তালেবান। তারা বলছেন, আমেরিকানদের উচিৎ ছিল, আগে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা।

এদিকে কাবুল বিমানবন্দর থেকে সেনাদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে সেখানে পাঁচ হাজার ৮০০ মার্কিন সেনা থাকলেও এখন রয়েছে মাত্র চার হাজার সেনাসদস্য।

হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা বলছেন, চূড়ান্ত প্রত্যাহার শুরু হওয়ায় সামনের কয়েকদিন আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, বিমানবন্দরের আশেপাশে আরও কয়েক স্তরের তল্লাশি চৌকি বসিয়েছে তালেবান। বেশিরভাগ আফগানকে তারা এসব চেকপোস্ট পার হতে দিচ্ছে না।

দুই সপ্তাহ আগে বিমানে করে উদ্ধার অভিযান শুরু হওয়ার পর এখন পর্যন্ত আফগান ও বিদেশি নাগরিক মিলিয়ে কাবুল থেকে এক লাখ ১০ হাজার মানুষকে বিভিন্ন দেশে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি, আল জাজিরা।

আরসি-০৬