তালেবানের পাঞ্জশির বিজয়ের উল্লাসে গুলিতে নিহত ১৭, আহত ৪১

সিলেট মিরর ডেস্ক


সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১
০৫:০০ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ০৪, ২০২১
০৫:০০ অপরাহ্ন



তালেবানের পাঞ্জশির বিজয়ের উল্লাসে গুলিতে নিহত ১৭, আহত ৪১

পাঞ্জশির বিজয়ের খবরে তালেবানের উল্লাসে কাবুলে অন্তত ১৭ জন নিহত এবং আরো ৪১ জন আহত হয়েছেন। আফগানিস্তানের টোলো নিউজের খবরে বলা হয়েছে, শহরব্যাপী আকাশে গুলিবর্ষণের ফলে নিহত ১৭ জনের মৃতদেহ এবং ৪১ জন আহত ব্যক্তিকে কাবুলের জরুরি হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

টোলো নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাঞ্জশির প্রদেশ তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে এমন খবর পাওয়ার পর শুক্রবার রাতে তালেবান যোদ্ধারা তাদের বন্দুক থেকে গুলি ছুঁড়ে উল্লাস করেছিল।

টোলো নিউজের খবরে আরো বলা হয়, পাঞ্জশির উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদনের মধ্যেই কাবুলে “বিজয় উদযাপনমূলক গোলাগুলি” শোনা গেছে। পাঞ্জশিরে তালেবান যোদ্ধারা আফগানিস্তানে তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকা সর্বশেষ প্রদেশটির জন্য মাসুদ বাহিনীর সাথে লড়াই করছে।

কিছু গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাঞ্জশিরে গত কয়েকদিন ধরে চলা লড়াইয়ে উভয় পক্ষের ৩০০-রও বেশি যোদ্ধা প্রাণ হারিয়েছে।

গতকাল তালেবানরা দাবি করেছে যে, প্রদেশটির পতন ঘটেছে। তবে পাঞ্জশিরের নর্দার্ন রেজিস্টেন্স ফ্রন্ট তালেবানদের দাবি অস্বীকার করেছে।

বিদ্রোহীদের নেতৃত্বদানকারী আহমদ মাসুদ বলেন, “পাকিস্তানি গণমাধ্যমে তালেবানের পাঞ্জশির বিজয়ের যে খবর প্রচারিত হচ্ছে তা মিথ্যা”।

শুক্রবার রাতে তালেবানবিরোধীদের শেষ ঘাঁটি পাঞ্জশির প্রদেশ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি করে তালেবান। এ খবরে কাবুলের বিভিন্ন স্থানে ‘আকাশের দিকে’ গুলি ছুড়ে বিজয়োল্লাস করে সংগঠনটির যোদ্ধারা। এর পরপরই শহরের হাসপাতালগুলোতে দলে দলে গুলিবিদ্ধ মানুষ আসতে শুরু করেন।

শুক্রবার রাতেই বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক মাধ্যমে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, অ্যাম্বুল্যান্সে করে অনেককে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

হাসপাতালগুলো জানিয়েছে, তাদের কাছে এ পর্যন্ত আহত ৪১ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এছাড়া মরদেহ এসেছে ১৭টি।

তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক টুইটে বলেন, আকাশে গুলি করা এড়িয়ে চলুন এবং এর পরিবর্তে আল্লাহকে ধন্যবাদ দিন। অস্ত্র-গোলাবারুদ আপনাদের হাতে, সেগুলো নষ্ট করার অধিকার কারো নেই। গুলিতে সাধারণ মানুষের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা বেশি, তাই অযথা গুলি করবেন না।

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে ৪৮ কিলোমিটার দূরে পাঞ্জশির উপত্যকা। এলাকাটি উঁচু-নিচু পাহাড়ি ও দুর্গম হওয়ায় অনেকটা সুবিধাজনক স্থানে ছিল তালেবান প্রতিরোধ গোষ্ঠী। উপত্যকাটিতে ঢোকার রাস্তা খুবই সরু। সেখানে কয়েক হাজার তালেবান বিরোধী যোদ্ধা অবস্থান করছিল।

শুক্রবার ব্যাপক সংঘর্ষের পর আফগানিস্তানের পাঞ্জশির উপত্যকা নিজেদের দখলে নেয়ার দাবি করেছে তালেবান। যদিও এ দাবি অস্বীকার করেছে বিরোধীরা। 

ওদিকে, গত ১৫ আগস্ট তালেবান যোদ্ধারা কাবুলে প্রবেশ করার পরও আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় স্বাধীন টিভি নেটওয়ার্ক টোলো নিউজ এখনও তাদের সংবাদ সম্প্রচার অব্যাহত রেখেছে।

কিন্তু আফগানিস্তানের অন্যান্য টিভি এবং রেডিও স্টেশনের মতো এটিও এখন তালেবানের অধীনে এক কঠিন এবং অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখোমুখি হয়েছে।

বি এন-১১