নিজস্ব প্রতিবেদক
সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২১
১১:৫৫ অপরাহ্ন
আপডেট : সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২১
১১:৫৫ অপরাহ্ন
মদন মোহন কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী তাদের ভতি ফির টাকা ফেরত পেয়েছেন। ইতোমধ্যে তারা ভর্তি ফি জমা দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করেছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ তাদের প্রত্যেককে ২ হাজার ৫০০ টাকা ফেরত দিয়েছেন। এর পর তারা ৫ হাজার টাকা ও ফরম পূরণের টাকা জমা দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করেছেন। তবে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি এ. কে. এম. মাহমুদুল হাসান সানি টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, করোনা মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী পাঁচ হাজার টাকা ফি জোগাড় করতে না পারায় এইচএসসির দ্বিতীয় বর্ষে ভর্তি হতে পারেননি। এ সময় কলেজ ছাত্রলীগ নেতারা আড়াই হাজার টাকায় ভর্তির আশ্বাস দেন এবং প্রায় ২০০ শিক্ষার্থীর প্রত্যেকের কাছ থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা আদায় করেন। কিন্তু গত আগস্টে এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে গিয়ে তারা জানতে পারেন ভর্তির টাকা জমা হয়নি। এ বিষয়ে তারা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে যোগযোগ করলে নেতৃবৃন্দ তাদের এ বিষয়ে চিন্তা না করতে বলেন। কিন্তু এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন শিক্ষার্থীরা। গত ৪ সেপ্টেম্বর ছিল ফরম পূরণের শেষ দিন। এ বিষয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর ‘শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি’র টাকা ছাত্রলীগ নেতাদের পকেটে!’ শিরোনামে দৈনিক সিলেট মিরর-এ একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
গতকাল রবিবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, ছাত্রলীগ নেতারা সেই টাকা ফেরত দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী সিলেট মিররকে বলেন, ‘আমাদের সমস্যা সমাধান হয়েছে। ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ আমাদের টাকা ফেরত দিয়েছেন। পরে আমরা কলেজে ভর্তির ৫ হাজার টাকা ও ফরম পূরণের টাকা অনলাইনে জমা দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছি।’
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি এ. কে. এম. মাহমুদুল হাসান সানি সিলেট মিররকে বলেন, ‘আমি কারো কাছ থেকে কোনো ধরনের টাকা নেইনি। ফলে টাকা ফেরত দেওয়ারও কোনো প্রশ্ন আসে না। কেউ যদি প্রমাণ করতে পারে আমি টাকা নিয়েছি তাহলে তাকে আমার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এর আগে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের কলেজের নিয়ম অনুয়ায়ী ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। যাতে তারা অন্যান্য মাধ্যমে ভর্তি না হন।’ তবে তার বা ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ এ কাজ করলে তিনি এর দায় নিবেন না বলেও জানান ছাত্রলীগের এই নেতা।
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সর্ব্বানী অর্জুন সিলেট মিররকে বলেন, ‘কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের প্রায় ১ হাজার ১৫০ জন শিক্ষার্থী আছেন। ৪ সেপ্টেম্বর শেষদিন পর্যন্ত ফরম পূরণ করেছেন প্রায় ১ হাজার ১০০ জন শিক্ষার্থী। যারা এখনও ফরম পূরণ করেননি, তাদের মধ্যে অনেকে বিদেশে চলে গেছেন। অনেকে করোনার কারণে চাকরিতে যুক্ত হয়েছেন।’ তবে এখনও যারা ফরম পূরণ করেনি তারা বোর্ডে বিলম্ব ফি দিয়ে পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করতে পারবেন।
এনএইচ/বিএ-০৭