শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর কমলগঞ্জের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

কমলগঞ্জ প্রতিনিধি


সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
০৯:১২ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২১
০৯:১২ অপরাহ্ন



শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর কমলগঞ্জের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় সরকার ঘোষিত ১৯ দফা নির্দেশনা মেনে দীর্ঘ প্রায় ১৮ মাস পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হওয়ায় শিক্ষার্থীদের পদচারণায় ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য। দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রাঙ্গণে আসতে পেরে শিক্ষার্থীরাও উচ্ছ্বসিত।

রবিবার (১২ সেপ্টেম্বর) মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আনন্দঘন পরিবেশে ক্লাস শুরু হয়েছে। করোনা মহামারির কারণে শিক্ষার্থীরা এতদিন আসতে পারেনি তাদের প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সহপাঠীদের ছেড়ে দীর্ঘ দেড় বছর তাদের বাড়িতে কেটেছে একপ্রকার বন্দি অবস্থায়। দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হওয়ায় আবারও বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আসতে পেরে খুশি তারা।

জানা যায়, উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে ২২টি ও প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১৫২টি। এছাড়া ৫টি মাদরাসা, ৮টি জুনিয়র বিদ্যালয়, ৪টি কলেজ ও ৩০টি কিন্ডারগার্টেন স্কুল রয়েছে। রবিবার স্কুল-কলেজ খোলার সময় প্রায় প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে সাবান দিয়ে হাত ধৌত করা, হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা, সমাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, শিক্ষার্থীদের শরীরের তাপমাত্রা নিশ্চিত করতে দেখা যায়। এছাড়া এসব কার্যক্রম শেষে কোনো কোনো বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের প্রিয় শিক্ষার্থীদের শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের পূর্বে ফুল ও বিভিন্ন উপহার দিয়ে বরণ করে নিতে দেখা গেছে।

কমলগঞ্জ উপজেলার কমলগঞ্জ মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, মকবুল আলী উচ্চবিদ্যালয়র, কমলগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভানুগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শমসেরনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালী প্রসাদ উচ্চবিদ্যালয় মুন্সিবাজার, দয়াময় সিংহ উচ্চবিদ্যালয়, ভান্ডারীগাঁও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কুমড়াকাপন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কমলগঞ্জ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধবপুর উচ্চবিদ্যালয়সহ প্রায় সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা পরিমাপ করে প্রতিষ্ঠানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের পর শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে তুলে দেওয়া হয় ফুল।

কমলগঞ্জ মডেল সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুন্না রায় মিতু, রবিন মিয়া, শান্তনু দেবরায় ও সামিউল সামি জানায়, বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষক ও সহপাঠীদের সঙ্গে দেখা ও ক্লাস করতে পেরে অনেক আনন্দ লাগছে তাদের।

কুমড়াকাপন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মঞ্জুর আহমেদ মান্না বলেন, শিক্ষার্থী ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো পরিণত হয়েছিল বিরাণভূমিতে। পাঠদান কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এখন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে শিক্ষাঙ্গন। করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।  

কমলগঞ্জ উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শামসুন নাহার পারভীন বলেন, বিদ্যালয়গুলোতে স্বাস্থ্যবান্ধব পরিবেশ ফিরিয়ে আনা হয়েছে। আমাদের তদারকি অব্যাহত থাকবে।

উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়গুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানানোর জন্য নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রম চলমান থাকবে।

কমলগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন, সরকারি নির্দেশনামতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে কি না সেদিকে উপজেলা প্রশাসন কঠোর নজরদারি করবে।


এসডি/আরআর-১০