লোকবল সংকটে মিলছে না স্বাস্থ্যসেবা

সৈয়দ হাবিবুর রহমান ডিউক, শায়েস্তাগঞ্জ


সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
০৫:২৬ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২১
১২:২৬ পূর্বাহ্ন



লোকবল সংকটে মিলছে না স্বাস্থ্যসেবা
শায়েস্তাগঞ্জের দুই ইউপি পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র

সারাদেশের মধ্যে ৪৯২তম উপজেলা হচ্ছে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ। ৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ২টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। উপজেলার নুরপুর ও শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলো স্থাপিত হয়েছে। মফস্বলে এই পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলো চিকিৎসাক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু লোকবল সংকটসহ আরও নানা সমস্যায় জর্জরিত থাকায় শতভাগ চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শায়েস্তাগঞ্জের মানুষ। 

নুরপুর ইউনিয়নের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে সম্প্রতি অবকাঠামোর কিছু উন্নয়ন করা হয়েছে। তবে অবশিষ্ট কিছু অংশে কাজ বাকি রয়েছে আর কিছু অংশে এখনও হয়নি সীমানা প্রাচীর। এছাড়া দুটি কক্ষের ভেতরে পানি পড়ায় কক্ষগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এই কেন্দ্রে বেশ কয়েকবছর ধরে ফার্মাসিস্টের পদটি খালি।

নুরপুর ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী ডা. বিঞ্চু পদ রায় বলেন, বর্তমানে আমাদেরকে এনভেলাপসহ মোট ২৩ রকমের ওষুধ দেওয়া হয়। এই পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে কিছু সমস্যা থাকলেও আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। এই করোনাকালে প্যারাসিটামল ও হিস্টাসিনের চাহিদা ছিল প্রচুর। এগুলোর স্টক অতিদ্রুত শেষ হয়ে গেছে।

এই কেন্দ্রের পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা গীতা রানী দেব জানান, গত ১ বছরে ৩৫টি নরমাল ডেলিভারি করা হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল হওয়ায় রাতের বেলা রোগীদের নিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়।

অন্যদিকে শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রেও রয়েছে নানা সমস্যা। বিগত ১ বছরে লোকবল সংকটের কারণে কোনো ডেলিভারি হয়নি এখানে। এই কেন্দ্রে নেই পরিদর্শিকা। নেই ফার্মাসিস্ট ও নাইট গার্ড। এছাড়া কোয়ার্টারের জানালাগুলো ভাঙা। অনেক পুরাতন ভবনটি সংস্কার না করায় এটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। কেন্দ্রের কোয়ার্টারে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকার কারণেও নিরাপত্তা সংকটে এখানে ২৪ ঘন্টা সেবা দেওয়া হয় না। ফলে এ অঞ্চলের মানুষ এই কেন্দ্র থেকে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না।

এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী ডা. নুসরাত জাহান রুমা বলেন, আমাদের কেন্দ্রের নানা সমস্যার বিষয়ে অফিসিয়ালি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এই কেন্দ্রে মূলত আমরা দুইজন দায়িত্বপালন করি। তবে একজন পরিদর্শিকা হবিগঞ্জের পৈল থেকে এসে সপ্তাহে দুইদিন অতিরিক্ত দ্বায়িত্বপালন করে থাকেন।

শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রওশন আরা বেগম বলেন, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় দুটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। তবে লোকবলের সংকটের কারণে শতভাগ সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে ঠিক কী কারণে শূন্যপদে লোক নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ বিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবেন। আমি এ বিষয়ে জানি না।


এসডি/আরআর-০১