দক্ষিণ সুরমা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আসাদ, সম্পাদক রাজন

নিজস্ব প্রতিবেদক


সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
১০:০১ অপরাহ্ন


আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২১
১০:০১ অপরাহ্ন



দক্ষিণ সুরমা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি আসাদ, সম্পাদক রাজন

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন দক্ষিণ সুরমা উপজেলা শাখার প্রথম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় দক্ষিণ সুরমা জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। পরে কাউন্সিল অধিবেশনের মাধ্যমে আসাদুজ্জামান আসাদকে সভাপতি, রাজন দেবনাথকে সাধারণ সম্পাদক এবং মিজু আহমেদকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

এর আগে শনিবার সকাল ১১টায় দক্ষিণ সুরমা জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে ‘শিক্ষার সংগ্রামে লড়ি দৃঢ় কন্ঠে, সাম্যের সন্ধানে লড়ি প্রগতির পক্ষে’ স্লোগানে আয়োজিত সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবল চন্দ্র পাল। পরে এক মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।

সমাবেশে বিদায়ী কমিটির আহ্বায়ক হাছান বক্ত চৌধুরী কাওছারের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান আসাদের পরিচালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু, সহ-সভাপতি ও সিলেট জেলার সভাপতি সরোজ কান্তি।

এ সময় আরও বক্তব্য দেন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন, সিপিবি জেলা নেতা ডা. বীরেন্দ্র চন্দ্র দেব, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার সাবেক সভাপতি সপ্তর্ষী দাস, সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর দাশ গুপ্ত, সহ-সাধারণ সম্পাদক সুধারঞ্জন দাস অপু, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক মো. নাবিল এইচ, মহানগরের দপ্তর সম্পাদক সন্দীপ দেব, মদন মোহন কলেজের কোষাধ্যক্ষ মোহাইমিনুল ইসলাম মাহিন, মিজু রহমান, তাহমিনা বেগম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ১৯৫২ সাল থেকে দেশের সকল গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক, শিক্ষার অধিকার আদায়সহ সব ধরনের লড়াই সংগ্রামে সম্মুখে ছিল বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন। মহান মুক্তিযুদ্ধে ন্যাপ-কমিউনিস্ট-ছাত্র ইউনিয়নের আলাদা একটি গেরিলা বাহিনী ছিল। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা যে দেশের স্বপ্ন দেখেছিলাম, ৫০ বছরেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।’

তারা আরও বলেন, ‘দেশে আজ গণতন্ত্র নেই, কথা বলার অধিকার নেই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে মানুষের জীবনকে অনিরাপদ করে তোলা হয়েছে। শ্রমিকরা ন্যায্য দাবি করলে তাদের বুকে গুলি করা হয়। বর্তমান সরকার মুখে প্রগতিশীলতার কথা বললেও সাম্প্রদায়িক শক্তির প্রেসক্রিপশনে পাঠ্যসূচি থেকে প্রগতিশীল লেখকদের লেখা সরিয়ে দিয়েছে।’

তারা দাবি জানিয়ে বলেন, স্কুল-কলেজ খোলার পর অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষাঙ্গনে ফিরে আসছে না। তারা ঝরে পড়েছে। রেশনিংয়ের মাধ্যমে তাদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনতে হবে। স্কুল পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের টিকার ব্যবস্থা করতে হবে। অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে হবে।’

পরে দুপুরে জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে কাউন্সিল অধিবেশন শুরু হয়। আসাদুজ্জামান আসাদকে সভাপতি, রাজন দেবনাথকে সাধারণ সম্পাদক এবং মিজু আহমেদকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সহসভাপতি সঞ্জিত কুমার দাস, সহসভাপতি জীবন দাস, সহকারী সাধারণ সম্পাদক আমিনা বেগম, দপ্তর সম্পাদক মাহবুব হোসেন, কোষাধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম, শিক্ষা ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক তাহমিনা বেগম, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সাইফ আহমদ, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক রুহি আরাফাত শোভা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মিঠন দাস, স্কুল ও ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক কাকলী দাস, সমাজ কল্যান বিষয়ক সম্পাদক সুমতি রায় ও ক্রীড়া সম্পাদক জাফর আহমদ। বাকি দুই সদস্যদের পদ খালি রাখা হয়েছে। এ সময় নবনির্বাচিত কমিটিকে শপথ বাক্য পাঠ করান বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি ও সিলেট জেলার সভাপতি সরোজ কান্তি।

বিএ-১৮