সিলেট মিরর ডেস্ক
অক্টোবর ০৪, ২০২১
০১:৫০ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ০৪, ২০২১
০৫:২৪ অপরাহ্ন
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি মসজিদের প্রবেশ পথে ভয়াবহ এক বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছে বলে জানান এক তালেবান মুখপাত্র।
আল জাজিরার খবরে বলা হয়, কাবুলের ঈদগাহ মসজিদকে লক্ষ্য করে এই বোমা হামলা চালানো হয়, যেখানে তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদের মৃত মায়ের স্মরণে একটি দোয়া অনুষ্ঠান চলছিল। জাবিহুল্লাহর মা গত সপ্তাহে মারা গেছেন।
আব্দুল্লাহ নামে স্থানীয় এক দোকানদার ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি-কে বলেন, আমি ঈদগাহ মসজিদের কাছে গুলির পর বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছি। বিস্ফোরণের কয়েক মুহূর্ত আগে তালেবানরা মসজিদের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছিল বলেও জানিয়েছেন তিনি।
কারী সাঈদ খোস্তি নামে তালেবান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র এএফপিকে বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক তথ্যে দেখা গেছে যে, বিস্ফোরণে দুই বেসামরিক লোক নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছে’।
এই হামলায় তালেবান যোদ্ধাদের কোনো ক্ষতি হয়নি বলে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন তালেবান মুখপাত্র বিলাল করিমি।
হামলায় নিহতরা মসজিদের গেটের বাইরে থাকা বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। তিনি নিহতদের সংখ্যার কোনো তথ্য দেননি এবং বলেন, তদন্ত চলছে।
আহতদের বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে শাহর-ই-নাও এলাকায় কাবুলের জরুরি হাসপাতালের দিকে ছুটে যেতে দেখা গেছে।
হাসপাতাল টুইটারে জানিয়েছে যে চারজন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
তাৎক্ষণিকভাবে কেউ এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে গত ১৫ আগস্ট তালেবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করার পর থেকে তাদের বিরুদ্ধে ইসলামিক স্টেট (আইএস) সন্ত্রাসীদের হামলা বেড়েছে। এই উত্থান দুই ইসলামপন্থী গোষ্ঠীর মধ্যে বড় ধরণের সংঘর্ষের সম্ভাবনা বাড়িয়েছে।
আইএস আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশে শক্তিশালী উপস্থিতি বজায় রেখেছে এবং তালেবানকে শত্রু মনে করে। আইএস তালেবানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি হামলার দাবি করেছে, যার মধ্যে নানগাহারের প্রাদেশিক রাজধানী জালালাবাদের বেশ কয়েকটি হত্যাকাণ্ডও রয়েছে।
এর আগের গত ২৬ আগস্ট কাবুল বিমান বন্দরের প্রবেশ পথে চলানো ভয়াবহ হামলার দায়ও স্বীকার করেছে আইএস। ওই হামলায় ১৩ জন মার্কিন সেনা সহ ১৮৫ জন নিহত হয়।
বিএ-০৫