সিলেট মিরর ডেস্ক
অক্টোবর ০৬, ২০২১
০১:৪৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ০৬, ২০২১
০২:০৩ পূর্বাহ্ন
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, বাংলাদেশের গণমাধ্যমকে শক্তিশালী বানাতে সরকার চেষ্টা করছে। রাজধানীর একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে আজ মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) বিকালে তিনি এ কথা জানান।
তবে তার মন্তব্য, ‘কেবল সরকারের সদিচ্ছার ওপর শক্তিশালী গণমাধ্যমের বিষয়টি নির্ভর করে না। ব্যবসায়ী ও নিজ স্বার্থে বিভিন্ন গণমাধ্যম মালিকরা সাংবাদিকদের ব্যবহারের চেষ্টা করেন। সভা-সেমিনারে সাংবাদিকদের সঙ্গে যখন কথা বলি তখন তারা এ নিয়ে মুখ খোলেন না। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে আলোচনার সময় তারা এই বাধার কথা স্বীকার করেন।’
বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের ‘প্রটেক্টিং ইন্ডিপেন্ডেন্ট মিডিয়া ফর ইফেক্টিভ ডেভেলপমেন্ট’ (প্রাইমড) নামের একটি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী। গণমাধ্যমের উন্নয়নে এই প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে ফরেন কমনওয়েলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অফিস (এফসিডিও)।
ডা. হাছান মাহমুদের আশা, প্রকল্পটি সাংবাদিকদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে এবং গণমাধ্যমগুলো অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত চাপ থেকে মুক্ত থাকবে।
তার কথায়, ‘আমাদের দেশে অনেকে মনে করে সুসংবাদ মানে কোনও সংবাদ নয়, খারাপ সংবাদ মানে ভালো সংবাদ। আমি এর সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করি। যখন একটি দেশ এগিয়ে যায় তখন সেই দেশের মানুষকে আশাবাদী হতে হয়। একটা রাষ্ট্রে ও সমাজে টেকসই উন্নয়ন ও শক্তিশালী গণতন্ত্রের জন্য শক্তিশালী গণমাধ্যম থাকা জরুরি। তাই সরকার তথ্য অধিকার আইন করেছে।’
অনুষ্ঠানে গাজী টিভি ও সারাবাংলা ডটনেট-এর প্রধান নির্বাহী ও প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা উল্লেখ করেন, ‘গণমাধ্যম মানুষের জন্য কাজ করতে পারছে কিনা সেই জায়গায় এই প্রকল্পটি কাজ করবে। মিডিয়ার প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে, আবার মানুষ কিন্তু সবশেষে গণমাধ্যমের কাছেই ফিরে যাচ্ছে।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশনের প্রধান নির্বাহী ক্যারোলিন নার্সি ভিডিও বার্তায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন।
জানা যায়- প্রকল্পটির কাজ হবে বাংলাদেশ, ইথিওপিয়া ও সিয়েরা লিওনে। বাংলাদেশের তিন গণমাধ্যম বাংলা ট্রিবিউন, যমুনা টেলিভিশন এবং দৈনিক গ্রামের কাগজ এই প্রকল্পে কাজ করবে। এর মাধ্যমে গণমাধ্যমে সম্পাদকীয় উন্নয়নে প্রশিক্ষণ ও কারিগরি সহায়তা দেওয়া হবে।
প্রাইমড প্রকল্পের অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দৈনিক গ্রামের কাগজের সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, যমুনা টেলিভিশনের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর রোকসানা আনজুমান নিকোল এবং ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সভাপতি রেজওয়ানুল হক রাজা।
আরসি-১৯