দই নিয়ে বাগবিতণ্ডা: ছেলে পক্ষের মারধরে কনের বাবার মৃত্যু

সিলেট মিরর ডেস্ক


অক্টোবর ০৮, ২০২১
০২:৪৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ০৮, ২০২১
০২:৪৫ পূর্বাহ্ন



দই নিয়ে বাগবিতণ্ডা: ছেলে পক্ষের মারধরে কনের বাবার মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলায় বিয়ে বাড়িতে দই নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে বরপক্ষের লোকজনের মারধরে কনের বাবার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার রাতে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কনের বাবা ইকবাল হোসেনের (৫০) মৃত্যু হয়। তিনি উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের গণকমুড়া গ্রামের মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে।

এ ঘটনায় বরপক্ষের লোক স্থানীয় আবদুল্লাহ মিয়া ও হান্নান মিয়াসহ ১৭ জনকে আসামি করে মৃতের স্ত্রী জোৎস্না বেগম বাদী হয়ে কসবা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় জোৎস্না বেগম অভিযোগ করেন, গত মঙ্গলবার তাদের কলেজ পড়ুয়া মেয়ের বিয়ে হয় একই ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী বিষ্ণাউড়ি গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলের সঙ্গে।

বিয়ের দিন দই শেষ হয়ে গেলে এ নিয়ে বরযাত্রী আসা বরের প্রতিবেশী আবদুল্লাহ মিয়া ও হান্নান মিয়ার সঙ্গে কনের বাবা মো. ইকবাল হোসেনের ঝগড়া হয়। পরে বিয়ে বাড়িতে আসা দুই পক্ষের গণ্যমান্য লোকজন বিষয়টি সমাধা করে দিলে বিয়ের কাজ শেষ হয় এবং বরপক্ষ কনে নিয়ে চলে যায়।

জোৎস্না বেগম বলেন, এই ঘটনার জেরে বিয়ের পরদিন বুধবার রাত আনুমানিক ১০টার দিকে নিজ গ্রামের একটি চায়ের স্টলে বসে চা খাচ্ছিলেন ইকবাল হোসেন।

এ সময় হান্নান মিয়ার নেতৃত্বে ১০/১৫ জন যুবক এসে বিয়ে বাড়িতে দই না পাওয়ার জেরে ইকবাল মিয়াকে বেদড়ক পেটায়। তাদের পিটুনিতে গুরুতর আহত হয়ে জ্ঞান হারান ইকবাল হোসেন।

জোৎস্না বেগম বলেন, খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

এ প্রসঙ্গে কসবা থানার ওসি মুহাম্মদ আলমগীর ভুঁইয়া গণমাধ্যমকে বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান বলেন, সুরতহালে মৃত ইকবাল হোসেনের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ইকবাল হোসেন হার্টের রোগী ছিলেন। তার একটি রিং পরানোও ছিল। ধারণা করা হচ্ছে হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে।

আরসি-১৮