সিলেট মিরর ডেস্ক
অক্টোবর ২৪, ২০২১
০৭:১১ পূর্বাহ্ন
আপডেট : অক্টোবর ২৪, ২০২১
০৭:১১ পূর্বাহ্ন
সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের নির্দেশেই স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে হত্যা করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডের নেতৃত্বে ছিলেন কামরুল শিকদার ওরফে মুছা।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে ১৬৪ ধারার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন মিতু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ভোলাকে বেনাপোল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের আদালতে তাকে হাজির করা হয়।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিন তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন।
আদালত সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে ভোলা বলেন- বাবুল আক্তার ২০০৮ সালে চট্টগ্রামে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত থাকাকালে তার সোর্স ছিলেন কামরুল শিকদার ওরফে মুছা। কামরুলের সঙ্গে আগে থেকে পরিচয় ছিল ভোলার।
এই এহতেশামের বিরুদ্ধে ২০টি মামলা রয়েছে। কামরুল ভোলাকে বাবুলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর থেকে বাবুলকে বিভিন্ন তথ্য দিতেন ভোলা।
নগরের ডবলমুরিং থানা এলাকায় গুলি করতে যাওয়া এক ব্যক্তির তথ্য বাবুলকে দেন ভোলা। ওই ঘটনার আসামি ধরে বাবুল বেশ সুনাম কুড়িয়েছিলেন। পরে বাবুলের নির্দেশে কামরুলকে ভোলা তার বালুর ব্যবসায় ব্যবস্থাপক হিসেবে নিয়োগ দেন।
জবানবন্দিতে ভোলা জানান, ২০১৬ সালের মে মাসের দিকে কামরুল ইসলাম শিকদার ভোলাকে বলেন, স্যার (বাবুল) পারিবারিক সমস্যায় আছেন। তার স্ত্রীকে খুন করতে হবে। এ জন্য ভোলা যাতে অস্ত্র সংগ্রহ করে দেন। তখন ভোলা পারিবারিক বিষয়ে না জড়াতে কামরুলকে অনুরোধ করেন। কামরুল বিষয়টি বাবুলকে জানিয়ে দেন।
পরে বাবুল ভোলাকে ডেকে পাঠিয়ে বিষয়টি তৃতীয় কোনো ব্যক্তিকে জানালে ঝামেলা হবে বলে হুমকি দেন। এরপর বিষয়টি কাউকে বলেননি ভোলা। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহারের জন্য অস্ত্র সংগ্রহ করে দেন ভোলা।
কামরুলও শুরুতে রাজি ছিলেন না। তাকে এ কাজ না করলে ‘ক্রসফায়ারের’ হুমকি দিয়েছিলেন বাবুল। এ কারণে কামরুল রাজি হন।
আরসি-০৩