‘সাম্প্রদায়িক হামলার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ’

নিজস্ব প্রতিবেদক


অক্টোবর ২৪, ২০২১
০৩:৪১ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ২৪, ২০২১
০৯:০৪ অপরাহ্ন



‘সাম্প্রদায়িক হামলার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ’

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, 'সাম্প্রতিক সময়ে যে সাম্প্রদায়িক হামলা ঘটেছে তার নেতৃত্ব দিচ্ছে ছাত্রলীগের ছেলেরা, আওয়ামী লীগের লোকেরা৷ পত্র-পত্রিকায়ও তা উঠে আসছে।' আজ সকালে হযরত শাহজালাল (র.) মাজার শেষ জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আজ রবিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, 'সরকার দেশের মানুষের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ভাইদের ধর্ম পালন, উপসনালয়ের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। একইভাবে মুসলমানদের ভাইদেরও জীবনের নিরাপত্তা দিতে পারছে না।'

মির্জা ফখরুল বলেন, 'গণতন্ত্রের সংগ্রামসহ বিভিন্ন বিষয় থেকে জনগণের দৃষ্টি সরাতে সরকার এই সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।'

সংখ্যালঘুসহ দেশের জনগণের নিরাপত্তা দিতে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যর্থ হচ্ছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশের জনগণের সম্পুর্ণ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে। অন্যান্য ধর্মালম্বীদের ধর্মবিশ্বাস এবং তাদের উপাসনালয়গুলোরও কোনো নিরাপত্তা দিতে পারছে না। একইসঙ্গে ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষদেরও এখানো কোনো নিরাপত্তা নেই।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি যেসব সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে, এর নেতৃত্বও দিচ্ছে আওয়ামী লীগ। রংপুরে যে ঘটনা ঘটেছে সেখানে জড়িত ছাত্রলীগ নেতা। সুতরাং এটা পরিষ্কার জনগণের সঙ্গে এই সরকারের কোনো সম্পর্ক নেই। জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়েছে এই সরকার। সেদিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে নিতে আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িক হামলা চালাচ্ছে। রোহিঙ্গাদের বিষয়েও সেই একই ঘটনা।

বিএনপি মহানসচিব বলেছেন, ‘বাংলাদেশে তো নির্বাচনের কোনো পরিস্থিতি, পরিবেশ নেই। এখানে অনির্বাচিত সরকার, অবৈধ সরকার, যারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি, তারা নির্বাচন নির্বাচন খেলা করে গত দুটি টার্ম জোর করে ক্ষমতায় আছে। আমরা তখনই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো, যখন নির্বাচনের সত্যিকার পরিবেশ তৈরি হবে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। তাঁর দল আওয়ামী লীগের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি যে, আওয়ামী লীগের অধীনে সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। এজন্যই নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ সরকার, নির্দলীয় সরকার, তার অধীনে একটি নতুন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় আমরা অবশ্যই অংশগ্রহণ করবো। সেজন্যই আমরা আন্দোলন করছি।”

এসময় সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র ও বিএনপির নির্বাহী সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের শামীমসহ বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, কৃষকদলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

মির্জা ফখরুল বিমানযোগে সকালে সিলেটে পৌঁছান। সিলেটে মাজার জিয়ারত শেষে তিনি সুনামগঞ্জে গেছেন। সেখানে বিএনপির প্রাক্তন সাংসদ, প্রয়াত ফজলুল হক আছপিয়ার শোকসভায় যোগ দেবেন তিনি।

এনএইচ/আরসি-০৬