দুই কারণে করোনার নতুন ঢেউয়ের শঙ্কা দেশে

সিলেট মিরর ডেস্ক


অক্টোবর ৩০, ২০২১
১০:৩৬ অপরাহ্ন


আপডেট : অক্টোবর ৩০, ২০২১
১০:৪৯ অপরাহ্ন



দুই কারণে করোনার নতুন ঢেউয়ের শঙ্কা দেশে

পাশ্ববর্তী দেশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে করোনার সংক্রমণ নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্যবিদদের। গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শনাক্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। অন্যদিকে বাংলাদেশে করোনার শনাক্তের নিম্নহার মানুষের মধে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে উদাসীনতা তৈরি করেছে।  এ দুটি কারণে আবার নতুন বা তৃতীয় ঢেউ আসাটাও বিচিত্র নয় জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন,  এটি হলে শুধু স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নয়, আর্থসামাজিক অবস্থা নাজুক হয়ে পড়বে।

সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডা. মুশতাক হোসেন দেশের একটি শীর্ষ গণমাধ্যমকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে শনাক্তের হার ও মৃত্যু বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে উদ্বেগের বিষয়। আমাদের দীর্ঘ সীমান্ত আছে। তাই সীমান্তে সাধারণ যে নজরদারি এখন আছে, তা বাড়াতে হবে। সীমান্ত এলাকায় অপ্রাতিষ্ঠানিক যাতায়াতের দিকে বেশি নজর দিতে হবে।’

জানা গেছে, ভারতের দার্জিলিং বা জলপাইগুড়ির মতো পশ্চিমবঙ্গের বাংলাদেশ সীমান্তসংলগ্ন বিভিন্ন জেলায় শনাক্তের হার বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশের উত্তরবঙ্গের পঞ্চগড় জেলার সীমান্ত লাগোয়া পশ্চিমবঙ্গের জেলা দার্জিলিংয়ে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে। পঞ্চগড়সংলগ্ন আরেক জেলা জলপাইগুড়িতে সংক্রমণ বাড়ার দিকে। পশ্চিমবঙ্গে সংক্রমণ বাড়লে বাংলাদেশেও বাড়ার শঙ্কার নানা কারণ রয়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। দুটি অঞ্চলের অভিন্ন স্থল সীমান্ত বিশাল। দুটি দেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপকহারে যাওয়া–আসা আছে। এটা বৈধ এবং অনানুষ্ঠানিক—দুই ভাবেই ব্যাপকহারে হয়। বৈধভাবে যারা আসছে, তাদের একধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্যে দিয়েই ঢুকতে হয়। তবে সীমান্ত পার হয়ে যারা আসছে তাদের করোনার নেগেটিভ সনদ প্রদর্শন, তাপমাত্রা দেখার যে রীতি চালু আছে, তা যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন জ্যেষ্ঠ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. আবু জামিল ফয়সাল। তিনি সরকার নিয়োজিত জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ উপদেষ্টা দলের (সিলেট বিভাগ) সদস্য। তিনি বলছিলেন, অনেক আক্রান্ত ব্যক্তি আছে, যাদের অনেক সময় কোনো লক্ষণ বোঝা যায় না। তারা ঠিকই দেশের ভেতরে ঢুকে পড়তে পারে।

ডা. ফয়সাল সে ক্ষেত্রে সীমান্তে আসা ব্যক্তিদের নজরদারি বাড়ানো এবং সেই সঙ্গে কোয়ারেন্টিন আরও জোরদার করার পক্ষপাতী।

সীমান্ত এলাকায় সেই তৎপরতা কতটুকু। পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং জেলার সীমান্তের বাংলাদেশি জেলা পঞ্চগড়ের সিভিল সার্জন মো. ফজলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা জেলার মাসিক সভায় সীমান্তের বিষয় নিয়ে কথা বলি। যেসব ব্যবস্থা নেওয়ার তা এখনো চলছে।’

তবে ফজলুর রহমান বলেন, ‘সীমান্তে মানুষকে সচেতন করার মতো কাজগুলো অতীতের সব সময় করেছি, কাজও হয়েছে। সাম্প্রতিক সময় করা হয়নি। তবে এটা আমাদের করতে হবে।’ সূত্র : প্রথম আলো


এএফ/০২