কমলগঞ্জ প্রতিনিধি
নভেম্বর ০১, ২০২১
০৪:১৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ০১, ২০২১
০৪:১৪ পূর্বাহ্ন
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের চৈত্রঘাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসানকে (৩৫) উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। একটি মাইক্রোবাসে এসে দুর্বৃত্তরা রবিবার দুপুরে চৈত্রঘাট বাজারে নিজ বাসার সামনে ছুরিকাঘাতে আহত করে নাজমুলকে। তাকে উদ্ধার করে সিলেটের একটি হাসপাতালে নেয়ার পর সন্ধ্যা ৭টায় মৃত্যু হয়। তিনি ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে লড়বেন বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন।
আহতাবস্থায় নাজমুল এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ইউপি সদস্য পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দেওয়ায় তার ওপর হামলা হয়েছে।
নিহত নাজমুল রহিমপুর ইউনিয়নের প্রতাপী গ্রামের লুকুছ মিয়ার ছেলে। নাজমুলের মৃত্যুর সংবাদে এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা একই এলাকার প্রতিপক্ষ জুয়েল আহমদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে বড়চেগ ও চৈত্রঘাট এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে রবিবার দুপুরে একটি মাইক্রোবাসে এসে দুর্বৃত্তরা চৈত্রঘাট বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাজমুলকে নিজ বাসার সামনে একা পেয়ে দেশি অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সন্ধ্যা ৭টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয়রা জানান, মৃত্যুর খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সন্ধ্যার পর থেকে চৈত্রঘাট বাজার এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। অভিযুক্ত প্রতিপক্ষ জুয়েল আহমদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চৈত্রঘাট এলাকায় পুলিশ অবস্থান নিয়েছে।
গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে যাওয়ার পথে মাইক্রোবাসে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজ আইডিতে একটি লাইভে নাজমুল হাসান তার ওপর হামলায় জড়িতদের নাম প্রকাশ করেন। আসন্ন ইউপি নির্বাচনে সদস্য পদে প্রার্থিতা ঘোষণার কারণেই তার ওপর হামলা হয়েছে বলে জানান।
ভিডিওতে তিনি ছুরিকাঘাতের সময় তোফায়েল, রাসেল, মাসুদ, তফজ্জুল নামে চারজনকে চিনতে পেরেছেন এবং অন্যদের চিনতে পারেননি বলে জানান।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে দুপক্ষের মধ্যে বালু উত্তোলন নিয়ে বিরোধ চলছিল। কিছুদিন আগে নাজমুল এবারের নির্বাচনে ইউপি সদস্য পদে অংশ নেবে বলে এলাকায় ঘোষণা দেয়। পূর্বের বিরোধ ও নির্বাচনের প্রার্থিতা দুটি বিষয় নিয়ে হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের ধারণা।
কমলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল রানা এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘নিহতের লাশ এখনও আসেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
বিএ-০২