শ্রমিকদের উপর হামলা ও মামলার প্রতিবাদে সিলেট তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি


নভেম্বর ০৪, ২০২১
১০:৩৬ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ০৪, ২০২১
১০:৪১ অপরাহ্ন



শ্রমিকদের উপর হামলা ও মামলার প্রতিবাদে সিলেট তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ

বৃহত্তর জৈন্তা পাথর শ্রমিকদের উপর আসামপাড়া এলাকার নুর মেম্বারের ভাতিজা সোহেল আহমদ কর্তৃক বেলচা শ্রমিকদের উপর সকাল ১১টায় হামলার অভিযোগ উঠেছে। 

এরপর হামলাকারী সোহেল বাদী হয়ে জৈন্তাপুর থানায় শ্রমিকদের উপর মামলা করে। 

মামলার প্রতিবাদে বৃহত্তর জৈন্তা পাথর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন রেজিনং চট্ট-১৯০৯ এর সদস্যরা বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টায় বেলচা হাতে নিয়ে ৪নং বাংলাবাজার হতে মিছিল সহকারে জৈন্তাপুর স্টেশন বাজারে অবস্থান করে ৫ শতাধিক বেলচা শ্রমিক। 

তারা অভিলম্বে নূর মেম্বারের ভাতিজা শ্রমিক নির্যাতনকারী সোহেলকে আটক এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন এবং শ্রমিকদের উপর দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সিলেট তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় দীর্ঘ কয়েকযুগ হতে বেলচা শ্রমিকরা স্টোন ক্রাশার মিল হতে বেলচা দিয়ে পাথর লোড আনলোড পরিচালনা করে আসছে। সম্প্রতি কিছু সংখ্যাক অসাধু মিল মালিকরা গায়ের জোরে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার বঞ্চিত করে সরাসরি যন্ত্র দিয়ে (ফেলুডার কিংবা বেল্ট) গাড়ীতে পাথর লোড করে আসছে। শ্রমিকরা প্রতিবাদ জানালে মিল মালিকরা তাদের মারপিট করে। 

গতকাল ৪ নভেম্বর সকাল ১১টায় আসামপাড়াস্থ নুর মেম্বারের মালিকানাধিন মিলে বেল্ট দিয়ে গাড়ীতে পাথর লোড করাতে দেখেন শ্রমিকরা। এ নিয়ে তারা জানতে চাইলে নুর মেম্বারের ভাতিজা সোহেল আহমদ শ্রমিকদের মারধর করে। মারধরের একপর্যায় সোহেল আহমদ জৈন্তাপুর থানায় মামলা করে। 

শ্রমিকদের উপর হামলা ও মামলা দায়েরের প্রতিবাদের বিষয়টি দ্রæত শ্রমিকদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে বৃহত্তর জৈন্তা পাথর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন রেজিনং চট্ট-১৯০৯ এর সদস্যরা দ্রæত বেলচা হাতে নিয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা সদরের স্টেশন বাজারে অবস্থান গ্রহণ করে। বিকাল সাড়ে ৩টায় তারা সিলেট তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ করে রাস্তায় অবস্থান নেয়। 

শ্রমিকদের অবরোধের কারণে ইতোমধ্যে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় যানজট তৈরী হয়েছে। এদিকে রাস্তা অবরোধের কারনে আটকা পড়েছেন যাত্রীবাহী পর্যটকবাহী যানবাহন গুলো। 

বৃহত্তর জৈন্তা পাথর শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কামাল আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রব বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত মামলা প্রত্যাহার না করা হবে। ততক্ষণ পর্যন্ত সিলেট তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ রাখা হবে। প্রয়োজনে আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য বুকের রক্ত দিতে প্রস্তুত রয়েছি। শ্রমিকদের উপর হামলার কারনে নুর মেম্বারের ভাতিজা সোহেলকে আটক করার দাবী জানান।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক অবরোধ চলছে।


আর কে/বি এন-০৯