জৈন্তাপুরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ

জৈন্তাপুর প্রতিনিধি


নভেম্বর ১১, ২০২১
১০:২৭ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ১১, ২০২১
১০:৩০ অপরাহ্ন



জৈন্তাপুরে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ

সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার ফতেপুর ইউপির মাদরাসার এক প্রথম শ্রেণীর শিশু ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে শিশুটির পরিবার।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) উপজেলার জামেয়া ইসলামীয়া দারুল হাদীছ ক্বামরুল ইসলাম মুহিউস্সুন্নাহ বাগেরখাল মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে যায় ঐ মাদ্রাসার ১ম শ্রেনীর ছাত্রী।

মাহফিলের বাজার হতে উত্তর বাগেরখাল গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে পাবেল মিয়া (২০), একই গ্রামের মইন উদ্দিন উরফে কুটিনা মিয়ার ছেলে আনোয়ার হোসেন (২১) ছাত্রীকে খাওয়ার বস্তু কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ফুঁসলিয়ে নিয়ে মেদলের খা নামক স্থানে মুখ বেঁধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

রক্তাক্ত অবস্থায় ওই শিশু কান্নাকাটি করে বাড়ীতে যায় এবং বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের বিষয়টি জানায়।

এ ঘটনায় ভিটটিমের মা বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

পুলিশ রক্তমাখা জামাকাপড় জব্দ করে ভিকটিম শিশুটিকে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

এ ঘটনায় পুলিশ নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩-৯ (৩) ধারায় গণধর্ষন করার অপরাধে সংঘটিত মামলা রেকর্ড করে যার নং-৫/১৯৬।

পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষক আনোয়ার হোসেনের পিতা মইন উদ্দিন উরফে কুটিনা মিয়া ও পাবেল মিয়া বড় ভাই রাসেল মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।

ধর্ষকদের পুলিশ হেফাজতে দিবে মর্মে এবং তাদেরকে সুষ্ঠু বিচারের আশায় ফতেপুর ইউপি বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ, মন্তাজ মেম্বার তাদের ছাড়িয়ে নিয়ে যান।

এদিকে ঘটনার ৮দিন অতিক্রম হলেও মামলা দিয়ে নিরীহ মজুর পরিবারটি শিশু ধর্ষণ মামলা বিচারের জন্য ধারে ধারে ঘুরছে। অপরদিকে ধর্ষণ মামলার আসামীরা এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। 

ইউপি চেয়ারম্যান ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রশিদ বলেন, একটি ঘটনা ঘটেছে, ধর্ষণ হয়েছে কিনা তিনি জানেন না। 

জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কামাল আহমদ বলেন, শিশুটির পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানাই।

জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম দস্তগীর আহমদ, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ ঘটনায় আসামীদের ধরতে পুলিশ কয়েকবার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আমরা ধর্ষকদের গ্রেপ্তারের জন্য সকল ধরনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। 

আর কে/বি এন-১৩