বিয়ানীবাজার প্রতিনিধি
নভেম্বর ১২, ২০২১
০৩:০৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ১২, ২০২১
০৩:০৪ পূর্বাহ্ন
সিলেটের বিয়ানীবাজারে চতুর্থ ধাপে আগামী ২৩শে ডিসেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন অনুষ্টিত হবে। দীর্ঘ প্রতিক্ষার পর অবশেষে বিয়ানীবাজার উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। গত বুধবার তফসিল ঘোষণার পর থেকে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান-মেম্বার পদপ্রার্থীরা গণসংযোগ শুরু করে দিয়েছেন।
জানা গেছে, বিয়ানীবাজার উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে এবার আওয়ামীলীগ আর স্বতন্ত্র প্রার্থী মিলিয়ে চেয়ারম্যান পদে অন্তত ৪০ জন প্রার্থী নির্বাচন করতে নানামুখী প্রচার অব্যাহত রেখেছেন। এছাড়াও ৯০টি সাধারণ ওয়ার্ডে সদস্য পদে আরো প্রায় ৩শ’ প্রার্থী ভোটারদের মনজয়ে জনসংযোগ করছেন। সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৩০টি সদস্য পদে ৭৫ জন নারী বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোটারদের কাছে নির্বাচনী অবস্থান ব্যাখা করছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকেই মনোনয়নপত্র দাখিল সংক্রান্ত কাগজপত্র তৈরি-সংগ্রহ করার পাশাপাশি নতুন করে ব্যানার ফেস্টুন তৈরি করতে দিয়েছেন। তফসিল ঘোষণার পরই পাড়ায়-পাড়ায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের পক্ষে বৈঠক-গোপন বৈঠক শুরু হয়েছে।
ইউপি নির্বাচনকে উপলক্ষ করে বিভিন্ন ইউনিয়নে বেশ ক’জন প্রবাসী প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি ভোটারদের আলোচনায় স্থান পেয়েছে। সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধি প্রার্থীরা নিজেদের গুষ্টি-পাড়া নিয়ে ঐক্যের ডাক দিচ্ছেন, নিজের কর্মকান্ডের পক্ষে সাফাই গেয়ে অবস্থান আরো সুসংহত করার চেষ্টা করছেন তারা। তফসিল ঘোষণার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটারদের দোয়া-সহযোগীতা চেয়ে প্রচার শুরু করেছেন।
মুড়িয়া ইউনিয়নের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী কাওছার আহমদ বলেন, ছাত্র জীবন থেকে আমি ছাত্রলীগ-আওয়ামী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। জননেত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে এবার আমি নৌকার মনোনয়ন চাই। জননেত্রী আমাকে যোগ্য মনে করলে আমি নৌকার কান্ডারি হব।
কুড়ারবাজার ইউনিয়নের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী আব্দুল মুমিত বলেন, ভোটের মাঠে আছি অনেক বছর ধরে। আমরাতো সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। তফসিল ঘোষণার পর অনেক কর্মী-সমর্থকের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সাধারণ ভোটাররাও নিজে থেকে যোগাযোগ রাখছেন।
বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ কামাল হোসেন বলেন, তফসিল হওয়ার পর প্রতীক বরাদ্দের আগপর্যন্ত কোনো প্রতীকের পক্ষে ভোট চাওয়া যাবে না। তবে সম্ভাব্য চেয়ারম্যান-সাধারণ সদস্য পদপর্থীরা বাড়ি বাড়ি গণসংযোগ চালাতে পারবেন। আগামী ২৫ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিল করা হবে এবং ২৯ নভেম্বর মনোনয়নপত্র যাছাই-বাছাই করা হবে। আপিল দায়েরের জন্য ৩০ নভেম্বর ও ২ ডিসেম্বর দিন ঠিক করা হয়েছে। আর ৭ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ এবং আগামী ২৩ ডিসেম্বর ভোটগ্রহণ অনুষ্টিত হবে।
এসএ/আরসি-২১