সিলেটে বাসদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

সিলেট মিরর ডেস্ক


নভেম্বর ১২, ২০২১
০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ১২, ২০২১
০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন



সিলেটে বাসদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) ৪১তম ও মহান রুশ সমাজতান্ত্রিক বিপ্লবের ১০৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাসদ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে লাল পতাকা মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় আম্বরখানাস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

বাসদ সিলেট জেলা সমন্বয়ক আবু জাফরের সভাপতিত্বে ও জেলা সদস্য প্রণব জ্যোতি পালের সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন, বাসদ জেলা সদস্য জুবায়ের আহমদ চৌধুরী সুমন, চালক সংগ্রাম পরিষদের নেতা মনজুর আহমদ, কোরবান আলী, শহিদুল ইসলাম, মো. শহিদ, সুরুজ আলী, খোকন আহমদ, নির্মাণ শ্রমিক ফ্রন্ট নেতা মামুন বেপারি, কৃষক ফ্রন্টের রুমন বিশ্বাস, চা শ্রমিক ফেডারেশনের ময়না কর্মকার, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট সিলেট মহানগরের আহ্বায়ক সনজয় শর্মা প্রমুখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘পুঁজিবাদী শোষণ ও ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন জনগণকে আজ এক দুর্বিষহ জীবনের মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। করোনায় কাজ হারিয়েছে কোটি কোটি শ্রমজীবী মানুষ, দরিদ্র সীমার নিচে নেমে গেছে ৪২ শতাংশ মানুষ, নতুন দারিদ্র্য হয়েছে আড়াই কোটি, সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বিপর্যস্থ হয়েছে। অন্যদিকে দেশে চলছে লুটপাটের মহোৎসব। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতা বাড়ছে, বিপন্ন হচ্ছে মানবতা। ডিজেল, কেরোসিন, এলপিজি গ্যাস, বাসভাড়া, সিসিকের হোল্ডিং ট্যাক্স-পানি ও নিত্যপণ্যের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধি মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে।’

বক্তারা বলেন, ‘নগরে ব্যাটারিচালিত যানবাহন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ১০ হাজার শ্রমিক ও তার উপর নির্ভরশীল ৫০ হাজার মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে।’ দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কট, বেকার সমস্যর পাশাপাশি নগরে নাগরিক পরিবহন ও চালকদের কর্মসংস্থান ও জীবন-জীবিকার সঙ্কটের বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে দেখে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তারার। বক্তারা ইলেকট্রিক মোটরযান রেজিষ্ট্রেশন ও চলাচল নীতিমালায় ব্যাটারিচালিত যানবাহন অন্তর্ভুক্ত করে লাইসেন্স প্রদান করার আহ্বান জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো পুঁজিবাদী দেশ বেকারত্ব, দারিদ্র্য পতিতাবৃত্তি, ভিক্ষাবৃত্তি দূর করতে পারেনি। মানুষের অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা ও কাজের অধিকার নিশ্চিত করতে পারেনি। একমাত্র রুশ বিপ্লবের পর সমাজতান্ত্রিক সোভিয়েতে ইউনিয়ন প্রমান করেছিল রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে বিনামূল্যে জনগণের জন্য এ সব মৌলিক মানবিক অধিকার নিশ্চিত করা যায়।’

এজন্য পুঁজিবাদী শোষণ-দুর্নীতি বন্ধ করে সমাজতন্ত্রের পথে দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণের জন্য সবার প্রতি আহবান জানান বক্তারা।

আরসি-০১