নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ১৭, ২০২১
১২:৩৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ১৭, ২০২১
১২:৩৯ পূর্বাহ্ন
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে নির্ধারিত সময়ের সাড়ে আট মাস পর গত রবিবার থেকে শুরু হয়েছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। মাস্ক পরে, হাতে স্যানিটাইজার নিয়ে পরীক্ষার্থীরা ঢুকছেন কেন্দ্রে। স্বাস্থ্যবিধি মেনেই চলেছে সব কার্যক্রম। কিন্তু কেন্দ্রগুলোর বাইরের চিত্র ঠিক বিপরীত। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ভিড় করছেন অভিভাবকরা।
করোনাকালে বৃহত্তম এই পাবলিক পরীক্ষায় স্বাস্থ্যবিধি পরিপালন করতে সব কেন্দ্রে হাত জীবাণুমুক্ত করা ও তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। রাখতে হবে আইসোলেশন রুমও। কেন্দ্র এলাকায় অভিভাবকদের ভিড় না করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু এ অনুরোধ মানছেন না অভিভাবকরা।
সোমবার নগরের বেশ কয়েকটি পরীক্ষাকেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, পরীক্ষার্থীরা মাস্ক পরেই কেন্দ্রে ঢুকছেন। অনেকেই হাতে স্যানিটাইজার নিয়ে পরীক্ষাকেন্দ্রে যাচ্ছেন। কেন্দ্রের ভেতরেও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। পরীক্ষার্থীরা ছাড়াও হল পর্যবেক্ষকসহ কেন্দ্র সংশ্লিষ্ট সবাই মানছেন স্বাস্থ্যবিধি।
ঠিক তার বিপরীত চিত্র দেখা যায় কেন্দ্রেই বাইরে। পরীক্ষা শুরু ও শেষ হওয়ার আগে অসংখ্য অভিভাবকের জটলা দেখা যায়। কোনো কোনো পরীক্ষার্থীর সঙ্গে একাধিক অভিভাবক আসছেন। অভিভাবকরা জটলা করে ভিড় করছেন কেন্দ্রের সামনে। বেশিরভাগের মুখে নেই মাস্কও। যাদেরও আছে তাদের মাস্ক থাকছে থুতনির নিচে। পরীক্ষার প্রথম ও দিন চিত্র ছিল প্রায় একই।
সামিয়া চৌধুরী নামের এক অভিভাবক সিলেট মিররকে বলেন, ‘এসএসসি তো অনেক বড় পাবলিক পরীক্ষা। অভিভাবক না এলে বাচ্চারা নার্ভাস থাকে। তাই এসেছি। তবে আমাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা উচিত।’
আরেক অভিভাবক সোবহান আলী বলেন, ‘অভিভাবকরা পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে নিয়ে আসবে, আবার নিয়ে যাবে এটা একটা রীতি। তাই মহামারিকালেও এই রীতি ভাঙা সম্ভব হয়নি। বাচ্চাদের একা ছেড়ে দিয়ে অভিভাবকরা বাসায় শান্তিতে থাকতে পারেন না।’
সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুন চন্দ্র পাল সিলেট মিররকে বলেন, ‘কেন্দ্রের ভেতরের স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করাসহ সব দায়িত্ব আমাদের। কিন্তু বাইরের বিষয়টি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। এটি প্রশাসনকে দেখতে হবে।’
জানতে চাইলে সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) সত্যজিত রায় দাস বলেন, ‘আমরা বিষয়টি দেখব। যদি কোথাও এরকম ভিড় লক্ষ্য করা যায় তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
এনএইচ/আরসি-০৮