প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের অপেক্ষায় খালেদা জিয়ার পরিবার

সিলেট মিরর ডেস্ক


নভেম্বর ১৭, ২০২১
০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ১৭, ২০২১
০৩:৪৮ পূর্বাহ্ন



প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের অপেক্ষায় খালেদা জিয়ার পরিবার

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। এখনো তিনি হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) এ কথা জানিয়েছেন খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও দলের ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

ডা. জাহিদ বলেন, ‘চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় হাসপাতাল গঠিত মেডিকেল বোর্ড সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন। প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। সে মোতাবেক চিকিৎসা চলছে। তার সুস্থতায় আমরা দেশবাসীর দোয়া চাই।’

খালেদা জিয়ার মেজো বোন বলেন, ‘আমরা জানতাম সরকার অনুমতি দেবে না। তারপরও পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করেছিলাম। আইনমন্ত্রী সংসদে যে বক্তব্য রেখেছেন তাতে আমরা হতাশ হয়েছি। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কি উদ্যোগ নেয় তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছি। খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি হাসপাতালে তার শাশুড়ির দেখাশোনা করছেন।’

খালেদাকে বিদেশে পাঠাতে শত নাগরিক কমিটির আহ্বান

খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি সমর্থক শত নাগরিক কমিটি। গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা এ আহ্বান জানান।

বিবৃতিতে তারা বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করি, সরকারের মধ্যে কল্যাণ ও মঙ্গলবোধ জেগে উঠবে। সত্যিকারের দায়িত্বশীলতার সঙ্গে শুভ চেতনার পরিচয় দিয়ে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ যাত্রার ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

শত নাগরিক জাতীয় কমিটির পক্ষে বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন- প্রফেসর ড. আনোয়ারউল্লাহ চৌধুরী, প্রফেসর ড. এস এম এ ফায়েজ, প্রফেসর ড. মাহবুব উল্লাহ, প্রফেসর ড. জেড এম তাহমিদা বেগম, প্রফেসর ড. ওয়াকিল আহমদ, প্রফেসর মনসুর মুসা, কবি আবদুল হাই শিকদার, প্রফেসর ডা. আবদুল কুদ্দুস, প্রফেসর ড. ওবায়েদুল ইসলাম, প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান, প্রফেসর আবদুর রহমান সিদ্দিকী, প্রফেসর ড. রেজাউল করিম, প্রফেসর ড. ইফতেখারুল আলম মাসুদ, প্রফেসর ড. মজাদ্দেদী আল ফেসানী, প্রফেসর ড. কামরুল আহসান, প্রফেসর ড. গোলাম হাফিজ কেনেডী, প্রফেসর ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার প্রমুখ।

গত ১২ নভেম্বর শুক্রবার রাতে অসুস্থ বোধ করায় পরদিন শনিবার কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রথমে তাকে কেবিনে রাখা হলেও পরে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ‘ম্যাডাম এখন সিসিইউতে আছেন। সেখানেই তার চিকিৎসা ও পরীক্ষাগুলো হচ্ছে।’

হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ড খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করছেন।

৭৬ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বুহ বছর ধরে আর্থরাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। এভারকেয়ার হাসপাতালে ২৬ দিন চিকিৎসা শেষে গত ৭ নভেম্বর বাসায় ফিরেছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন। এর পাঁচ দিন পর আবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলো।

২০০৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারিতে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। করোনা মহামারির শুরুতে গত বছর ২৫ মার্চ সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে তাকে সাময়িক মুক্তি দেয়। এর পর থেকে এ পর্যন্ত তিনবার তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

আরসি-১৬