‘ভাসানীকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে’

সিলেট মিরর ডেস্ক


নভেম্বর ১৮, ২০২১
০১:২৪ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ১৮, ২০২১
০১:২৪ পূর্বাহ্ন



‘ভাসানীকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে’

মওলানা ভাসানীকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে-বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বোপার্জিত স্বাধীনতা ভাস্কর্যের সামনে মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মওলানা ভাসানী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় উপস্থিত থেকে তিনি একথা বলেন।

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, "তিনি মেহনতি মানুষের কথা বলতেন। তিনি বলতেন‑ যাদের শ্রমের ওপর আমাদের উন্নতি নির্ভর করে, যাদের শ্রমের ওপর দাঁড়িয়ে আমরা বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করছি। মওলানা ভাসানীর মতো মানুষের জন্য মৃত্যুটা সত্য নয়। আপোষকামীরা যখন বলতেন‑ আমরা আগে স্বাধীন হব, তারপর সমাজতন্ত্র-গণতন্ত্র কায়েম করব। তখন মওলানা বলতেন‑ স্বাধীনতার সংগ্রাম ও সমাজতন্ত্রের আন্দোলন এক ও অভিন্ন।

তিনি আরও বলেন, "ফিদেল কাস্ত্রোর মতো তিনিও বলতেন‑ হয় সমাজতন্ত্র না হয় মৃত্যু! এটি ব্যক্তিগত মৃত্যু নয়,  সমষ্টিগত মৃত্যু। মওলানা ভাসানীকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে, চেষ্টা হবে, বুর্জোয়ারা করবে। কিন্তু তিনি কখনো মুছে যাবেন না, কেননা যতদিন মেহনতি মানুষ আছে, যতদিন মেহনতি মানুষের সংগ্রাম আছে, ততদিন মওলানা থাকবেন। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে, বাংলাদেশের ইতিহাস থাকবে, ততদিন তাকে মুছে ফেলা যাবে না। "

সভায় টিপু বিশ্বাস বলেন, "মওলানা ভাসানীকে নিয়ে বক্তব্য দিয়ে শেষ করা যাবে না। তিনি যা চেয়েছিলেন তা প্রতিষ্ঠা করতে পারলে তাকে সম্মান জানানো হবে। তার জন্য সাম্রাজ্যবাদ, সামন্তবাদ, ভারতীয় আধিপত্যবাদ, দালাল, লুটেরাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে আমাদের এই দেশকে শোষণ মুক্তির দিকে নিয়ে যেতে হবে।"

গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু বলেন, মওলানাকে যারা চেনেন না বা অনুসরণ করেন না তাদের পক্ষে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা সম্ভব না। তার মতো মজলুম জননেতা আর কেউ হতে পারেনি, হওয়ার লক্ষণ ও দেখা যাচ্ছে না। এই সরকার হচ্ছে মূল্য বৃদ্ধির সরকার। সব কিছুর মূল্য বাড়িয়ে নিজের ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামে স্বৈরাচারী আইন তৈরি করেছে। এখন কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক কেউই কথা বলতে পারেন না।"

এসময় মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী পরিষদের সভাপতি আকমল হোসেনের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) সভাপতি বজলুল রশিদ ফিরোজ, সাইফুল হক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এসএম কামাল উদ্দিনসহ আরও অনেকে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে গান-কবিতাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মওলানা ভাসানীর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়।