সিলেট মিরর ডেস্ক
নভেম্বর ১৮, ২০২১
০২:৪৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ১৮, ২০২১
০২:৪৪ পূর্বাহ্ন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটি মহল চায় বাংলাদেশে সবসময় একটা গোলমাল লেগেই থাকুক। তারা সবসময় এই চেষ্টাই করে। বিএনপি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলে কীভাবে- এমন মন্তব্যও করেন তিনি।
আজ বুধবার (১৭ নভেম্বর) বিকালে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স সফর সম্পর্কে অবহিত করতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী। সাংবাদিকরা যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের শাপলা হল থেকে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, খালেদা জিয়ার আমলে ২০০১ সালে বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টি, বিএনপি ও জামায়াত। মিলিটারি ডিক্টেটররা ক্ষমতা অবৈধভাবে দখল করে এই দলগুলো সৃষ্টি করেছে। কাজেই এরা হলো ক্ষমতার ছত্রছায়ার দল। ক্ষমতার বাইরে এদের টিকা থাকার কোনও সম্ভাবনা নাই। এদের শেকড়ে জোর নেই।
তিনি বলেন, পঁচাত্তর সাল থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত বা ২০০৯ সাল পর্যন্ত যারা ক্ষমতায় ছিল তারা কেন পারেনি এই দেশকে উন্নত করতে? পারেনি একটি কারণে—কারণ তারা বাংলাদেশকে কখনও উন্নত করতে চায়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের যে উন্নয়ন, সারা বিশ্বে বাংলাদেশের একটা সম্মান, একটা মর্যাদা—এটা তাদের কাছে ভালো লাগবে না। আপনারা তো দেখেছেন চলন্ত বাসে আগুন দিয়ে কীভাবে মানুষ পোড়ানো হয়েছে? ২০০১ সালে কীভাবে মেয়েদের রেপ করা হয়েছে, কীভাবে মানুষের ঘরবাড়ি দখল হয়েছে। চোখ তুলে, হাত কেটে হত্যা করা হয়েছে। সেটা তো দেখেছেন? জিয়াউর রহমানের আমলে হয়তো অনেকে ছোট ছিলেন, দেখতে পারেননি। সেই সময় মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করা হয়েছে।
সরকার প্রধান বলেন, তারা চেষ্টা করে বাংলাদেশে সবসময় একটা গোলমাল লেগেই থাকুক। চেষ্টা তারা প্রতিনিয়ত করে যাচ্ছে। এই দেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি কে করেছে? কখন হয়েছে? বাংলাভাই কখন সৃষ্টি হয়েছে? এটা তো বিএনপির আমলেই। আমরা আসার পর জঙ্গিবাদ দমন করেছি।
তিনি বলেন, এখন তারা ইলেকশন করে না। এরা ইলেকশন নিয়ে প্রশ্ন তোলে কীভাবে? জিয়াউর রহমান কি ইলেকশন করেছিল?
শেখ হাসিনা বলেন, তারা ২০১৪ সালে নির্বাচন করবে না। নির্বাচন করবে কীভাবে? ইলেকশন করতে হলে যে সাংগঠনিক শক্তির দরকার হয় সেটা যখন নেই তখন তারা আমরা নির্বাচন করবো না বলে নিজেদের দৈন্যতা প্রকাশ করে। তারা জানে, আওয়ামী লীগ তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়ন করেছে, সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগকে ভোট দেয়, আওয়ামী লীগ জিতে যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সব অর্থ চুরি করে নিয়ে বিদেশে আরাম-আয়েশে দিন কাটাচ্ছে। সামান্য কিছু টাকা আমরা উদ্ধার করে এনেছি, সেটা খালেদা জিয়ার এক ছেলের টাকা। আর বাকিটা তো আছে। তারা সেখানে ভালোভাবে ব্যবহার করছে। বাংলাদেশের মধ্যে কীভাবে গোলমালটা পাকাবে। আজ এখানে বোমা হামলা, কালকে ওখানে মন্দির ভাঙা, মন্দিরের ওপরে কোরআন শরিফ রাখা—এসব কারা নিয়ন্ত্রণ করে? তথ্য বের হচ্ছে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা সেগুলো দেখেন। আর সাংবাদিকরা যদি প্রশ্ন করেন ষড়যন্ত্র কোথায়, তাহলে আর যাবো কোথায়? আপনারা কী চান? এই দেশে ইলেকশন না হোক? এই দেশের ইলেকশন প্রশ্নবিদ্ধ থাক? এই দেশের উন্নয়ন কাজ থমকে যাক? থমকে যে যায় তা তো দেখেছেন।
আরসি-২১