নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ১৮, ২০২১
০৫:০০ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ১৮, ২০২১
০৫:০০ পূর্বাহ্ন
সিলেটে টিকাদান কার্যক্রম শুরু হওয়ার সাড়ে ৯ মাসে মহানগরের প্রায় ২ লাখ ৯০ হাজার মানুষ করোনার টিকার দুই ডোজ গ্রহণ করেছেন। এ পর্যন্ত প্রথম ডোজ নিয়েছেন ৩ লাখ ৬২ হাজার মানুষ। স্বাভাবিক টিকা কার্যক্রম ও গণটিকার আওতায় তারা টিকা নেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম সিলেট মিররকে বলেন, ‘স্বাভাবিক টিকা কার্যক্রম ও গণটিকার আওতায় ইতোমধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকার ২ লাখ ৯০ হাজার মানুষ দুই ডোজ এবং ৩ লাখ ৬২ হাজার মানুষ শুধুমাত্র প্রথম ডোজ টিকা গ্রহণ করেছেন।’
জানা যায়, সিলেটে এ পর্যন্ত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, সিনোফার্ম, মডার্না ও ফাইজারের টিকা দেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি সিলেটে শুরু হয় টিকাদান কার্যক্রম। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দিয়ে এই টিকা কার্যক্রম চলে। আর ৮ এপ্রিল থেকে এই টিকার দ্বিতীয় ডোজ প্রদান শুরু হয়। তবে টিকা সঙ্কটের কারণে গত মে মাসে বন্ধ হয়ে যায় কার্যক্রম।
গত ১৯ জুন সিনোফার্মের প্রথম ডোজ প্রদান শুরু হয়। তবে এ সময় জেলায় একটি কেন্দ্রে মেডিকেল-নার্সিং শিক্ষার্থী এবং পূর্বের নিবন্ধন করে টিকা না পাওয়া ব্যক্তিদের দেওয়া হয়েছিল। আর গত ১৩ জুলাই থেকে আবারও সবার জন্য টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এছাড়া সারাদেশের মতো সিলেটেও দুই দফায় গণটিকা কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সিলেটে বর্তমানে তিনটি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ১২টি বুথে দেওয়া হচ্ছে ফাইজারের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও সিনোফার্মের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হচ্ছে। আরেক কেন্দ্র পুলিশ হাসপাতালের তিনটি বুথে সিনোফার্মের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। আর নগর ভবনে দেওয়া হচ্ছে মডার্না ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) নগরের এই তিন কেন্দ্রে টিকা নেন ৪ হাজার ৮৬০ জন। এর মধ্যে ফাইজারের প্রথম ডোজ নেন ২ হাজার ৮৮ জন। এ টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ১ হাজার ৮৬৬ জন। সিনোফার্মের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৩০ জন। মঙ্গলবার অ্যাস্ট্রাজেনেকার দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেন ৫০ জন এবং মডার্নার দ্বিতীয় ডোজ নেন ১২৬ জন।
এদিকে, মঙ্গলবার থেকে বস্তিতে করোনা প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে রাজধানীর সবচেয়ে বড় কড়াইল বস্তিতে টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এরপর দেশের অন্যান্য জেলার বস্তিতেও টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
সিলেটেও এ ধরনের কর্মসূচি রয়েছে কি না জানতে চাইলে সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এ ধরনের কোনো পরিকল্পনা নেই। কারণ গণটিকা ও স্বাভাবিক টিকা কার্যক্রমের আওতায় মহানগরের বেশিরভাগ মানুষ টিকা পেয়েছেন। এদের মধ্যে বস্তির মানুষও আছেন। গণটিকার সময় আমরা বস্তিবাসীকে প্রাধান্য দিয়েছি বেশি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কাউন্সিলরদেরকে বলেছি তাদের এলাকায় যদি বস্তির মানুষজন টিকা না নিয়ে থাকেন, তাদের আমরা টিকার ব্যবস্থা করব। কাউন্সিলররা এলাকাভিত্তিক ৩০০-৪০০ মানুষকে যদি নিবন্ধন করিয়ে আমাদেরকে বলেন তাহলে আমরা গিয়ে টিকা দিয়ে আসব।’
এনএইচ/আরসি-০১