বালাগঞ্জ প্রতিনিধি
নভেম্বর ২০, ২০২১
০৯:২১ অপরাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ২১, ২০২১
১২:৪৫ পূর্বাহ্ন
১১ নভেম্বর ২য় ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বালাগঞ্জ উপজেলার বালাগঞ্জ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের গৌরীনাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে জালিয়াতি করে সাধারণ সদস্য পদের পরাজিত প্রার্থীকে ১০ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী ঘোষণার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভোট কারচুপির অভিযোগে তালা প্রতীকের প্রার্থী সুরমান আলী ১৮ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগপত্রে তিনি পুনরায় ভোট গ্রহণের আবেদন জানিয়েছেন। লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, ৫নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ভোট গণনাকালে তালা প্রতীকের প্রার্থী সুরমান আলীর ভোট বেশি দৃশ্যমান হয়। বিষয়টি টের পেয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুল মালেকের কর্মী ও সমর্থকেরা জোরপূর্বক ভোট গণনা কক্ষে অনধিকার প্রবেশ করেন।
তালা প্রতীকের এজেন্টদেরকে জোর পূর্বক ভোট গণনা কক্ষ থেকে বের করে দিয়ে তালা প্রতীকের ব্যালটে টিপসই দিয়ে অনেকগুলো ব্যালট নষ্ট করে দেন। ওই সময় বাহির থেকে সীল দেয়া ফুটবল প্রতীকের ব্যালট এনে গণনা করা ভোটের সাথে যুক্ত করা হয়।
ভোট সংখ্যা বাড়িয়ে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুল মালেককে বিজয়ী দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রিসাইডিং অফিসার নজরুল ইসলাম ফলাফল বিবরণী প্রস্তুত করে তা প্রকাশ করেন।
ফলাফল বিবরণীতে এই ভোট কেন্দ্রে সাধারণ সদস্য পদে প্রদানকৃত ভোট সংখ্যা- ১৬৭৬, অবৈধ বা বাতিল ভোট সংখ্যা-১০৭ ও বৈধ ভোটের সংখ্যা ১৫৬৯টি দেখানো হয়।
কিন্তু ১২ নভেম্বর উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার সোহরার আহমেদ স্বাক্ষরিত ফলাফল বিবরণীতে দেখা যায়-এই কেন্দ্রে প্রদানকৃত ভোট সংখ্যা-১৬২৮, অবৈধ বা বাতিল ভোট-৫৯ ও বৈধ ভোটের সংখ্যা-১৫৬৯টি।
দুটি ফলাফল বিবরণী ঘেঁটে দেখা গেছে, প্রিসাইডিং অফিসার স্বাক্ষরিত ভোট কেন্দ্রে দেয়া ফলাফলে ৪৮টি ভোট বেশি দেখিয়েছেন। এছাড়া, সংরক্ষিত নারী আসনের প্রার্থীদেরকে প্রদান করা প্রিসাইডিং অফিসার স্বাক্ষরিত ফলাফল বিবরণীতে মোট প্রদানকৃত ভোট সংখ্যা-১৬৫৭ এবং একই পদে ১২ নভেম্বর দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং অফিসার স্বাক্ষরিত ফলাফল বিবরণীতে ১৬২৮টি ভোট উল্লেখ করা হয়েছে। এই কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদে রিটার্নিং অফিসার স্বাক্ষরিত ফলাফল বিবরণীতে ভোট প্রদানকৃত ভোট সংখ্যা-১৬২৮ উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রিসাইডিং অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার স্বাক্ষরিত ফলাফল বিবরণীতে এই অসঙ্গতি দেখে প্রতিয়মান হচ্ছে, ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণে দায়িত্বপ্রাপ্তরা পারস্পরিক যোগসাজশে অন্যায় ও অনৈতিকভাবে ৪৮টি গায়েবী ভোট যুক্ত করেছেন। ১০টি ভোটের ব্যবধানে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুল মালেককে বে আইনিভাবে বিজয়ী দেখিয়েছেন। লিখিত আবেদনে পুননির্বাচনের ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মো. আব্দুল মালেককে বিজয়ী ঘোষণা না করতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, গেজেট প্রকাশ না করা এবং শপথ থেকে তাকে বিরত রাখার দাবি জানানো হয়েছে।
এস এ/বি এন-০৫