নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ২৩, ২০২১
১২:৪২ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ২৩, ২০২১
১২:৪২ পূর্বাহ্ন
সিলেটে বিজ্ঞান লেখক ও ব্লগার অনন্ত বিজয় দাশ (৩২) হত্যা মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীরা আদালতে সাক্ষ্য দিতে না আসায় আবারও সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে। এনিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীরা না আসায় টানা তিনবার এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে।
সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে আজ সোমবার (২২ নভেম্বর) এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের নির্ধারিত তারিখ ছিল।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, এ মামলার সবশেষ সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছিল গত ১২ অক্টোবর। ওইদিন সাক্ষ্য দেন অনন্ত বিজয়ের ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শামসুল ইসলাম ও পুলিশ কনস্টেবল রাসেল আহমদ। তারা মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী ছিলেন। পরে আদালত গত ২৬ অক্টোবর ও ৮ নভেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন নির্দিষ্ট করেন। তবে ওই দুই দিন সাক্ষীরা না আসায় আজ সোমবার সাক্ষ্যগ্রহণের নতুন তারিখ নির্দিষ্ট করেন আদালত। এদিনও সাক্ষীরা না আসায় সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে দেন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল জজ মো. নুরুল আমিন।
আলোচিত এ মামলায় এখন পর্যন্ত ২৯ সাক্ষীর মধ্যে ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। বাকি ৮ জনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ৩ জন সাক্ষী রয়েছেন। যাদের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়ে গেলে মামলা যুক্তিতর্ক ধাপে চলে যাবে। সিলেটের সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে বিচার চলমান এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ আগামী ২২ নভেম্বর ধার্য করা হয়েছে।
বাদীপক্ষে মামলা পরিচালনায় গঠিত আইনজীবী প্যানেলের সদস্য মোহাম্মদ মনির উদ্দিন সিলেট মিরর অনলাইনকে বলেন, ‘সোমবার সাক্ষীরা না আসায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি। বাকি আটজন সাক্ষীর মধ্যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন সাক্ষী রয়েছেন। তারা সাক্ষ্য দিলেই মামলাটি যুক্তিতর্কের ধাপে গিয়ে রায়ের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হওয়ার পর্যায়ে চলে যেত।’
আইনজীবী প্যানেল সূত্রে জানা গেছে, আলোচিত এ মামলায় বাকি ৮ জন সাক্ষীর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ দুইজন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও একজন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞের সাক্ষ্যগ্রহণ বাকি রয়েছে।
এদিকে মামলার এ পর্যায়ে এসেও বারবার তারিখ পিছিয়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনন্ত বিজয় দাশের স্বজনরা। এতদিনেও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ না হওয়ায় হতাশা তাদের কণ্ঠে।
অনন্ত বিজয়ের ভগ্নিপতি অ্যাডভোকেট সমর বিজয় সী শেখর সিলেট মিররকে বলেন, ‘আগেও বার বার এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়েছে। কিন্তু এখন তো সাক্ষ্যগ্রহণ প্রায় শেষ পর্যায়ে। গুরুত্বপূর্ন সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ হলে মামলাটি রায়ের দিকে চলে যাবে। তবে এ পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষীরা উপস্থিত না থাকা আমাদের হতাশ করেছে।’
প্রসঙ্গত, গত ২০১৫ সালের ১২ মে সিলেট নগরের সুবিদবাজারের কলাপাড়া এলাকার নিজ বাসার সামনে খুন হন অনন্ত বিজয় দাশ। বিজ্ঞান নিয়ে লেখালেখির পাশাপাশি তিনি ‘যুক্তি’ নামে বিজ্ঞানবিষয়ক একটি পত্রিকা সম্পাদনা করতেন। এছাড়া বিজ্ঞান ও যুক্তিবাদী কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন অনন্ত।
এনএইচ/আরসি-১০