বড়লেখায় একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতানা

বড়লেখা প্রতিনিধি


নভেম্বর ২৩, ২০২১
০৯:১৫ পূর্বাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ২৩, ২০২১
০৯:১৫ পূর্বাহ্ন



বড়লেখায় একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতানা

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে উপজেলার ১০ ইউপির মধ্যে একমাত্র নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী সুলতানা কোহিনুর সারোয়ারি। 

তিনি উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউপিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছেন। ওই ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন চারজন। তিনজন পুরুষ প্রার্থীর সঙ্গে তিনি ভোটযুদ্ধে লড়বেন। 

সারোয়ারি দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান প্রয়াত গিয়াস উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী। তৃতীয় ধাপে আগামী ২৮ নভেম্বর উপজেলার ১০ ইউপিতে ভোটগ্রহণ হবে।  

উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ অক্টোবর উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউপিতে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে চারজন জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের কাছে জীবন বৃত্তান্ত জমা দেন। এরপর জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা কেন্দ্রে তাদের নামের তালিকা পাঠান। তাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড প্রথমে দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সুব্রত দাস শিমুলকে দলীয় মনোনয়ন দিলেও তিনি তা প্রত্যাহার করেন। পরে মনোনয়ন বোর্ড দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়ন মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতানা কোহিনুর সারোয়ারিকে বেছে নেয়।    

স্থানীয় জানা ও পারিবারিক সূত্রে গেছে, সুলতানা কোহিনুর সারোয়ারি রাজনৈতিক আবহে বেড়ে ওঠেছেন। তাঁর পৈতৃক বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজারের খসবা গ্রামের বড়বাড়িতে। তাঁর বাবার নাম আব্দুল মান্নান। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। তাঁর চাচা প্রয়াত বিয়ানীবাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল আজিজ ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুব ঘনিষ্ঠজন। বঙ্গবন্ধু তাদের বাড়িতেও এসেছিলেন। আর সুলতানা কোহিনুর সারোয়ারির শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। তাদের বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসেছিলেন। তাঁর ভাসুর প্রয়াত ইমান উদ্দিন আহমদ ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক। তিনি ইউপি চেয়ারম্যান থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে মৌলভীবাজার-১ আসনের সাবেক সংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে চাচা বলে ডাকতেন। এছাড়া তাঁর স্বামী প্রয়াত গিয়াস উদ্দিন আহমেদ আওয়ামী লীগ থেকে দুইবার ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাদের সবার সুনাম কাজে লাগিয়ে সারোয়ারি এবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে চান। এজন্য তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে জোরেশোরে মাঠে প্রচারণা চালাচ্ছেন। প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। পাশাপাশি করছেন উঠান বৈঠকও। তাঁর সঙ্গে দলের নেতাকর্মীরাও নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন। 

আলাপকালে সুলতানা কোহিনুর সারোয়ারি বলেন, আমার প্রয়াত স্বামী গিয়াস উদ্দিন আহমেদ দুইবার আওয়ামী লীগ থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর আগে আমার ভাসুরও প্রয়াত ইমান উদ্দিন আহমদ চেয়ারম্যান ছিলেন। পরে তিনি নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপিও হয়েছিলেন। তারা সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছেন। আমি নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নে কাজ করব। তিনি বলেন, প্রতিদিন মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। তাদের ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছি। মানুষজন উৎসাহ দিচ্ছেন। দলের নেতাকর্মীরাও আমার সঙ্গে কাজ করছেন। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে আমি বিপুল ভোটে জয়ী হব বলে আশা করছি। তিনি আরও বলেন, এখনো তৃণমূল পর্যায়ে নারীরা অনেক ক্ষেত্রে অবহেলিত। আমি নির্বাচিত হলে নারীদের অধিকার নিশ্চিতে কাজ করব। এছাড়া ইউনিয়নের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর আর্থসামাজিক উন্নয়ন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগসহ মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে কাজ কাজ করব। 

এ জে /বি এন-১০