মৌলভীবাজারে মাতৃগর্ভে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি


নভেম্বর ২৩, ২০২১
০৯:২৩ অপরাহ্ন


আপডেট : নভেম্বর ২৩, ২০২১
০৯:২৩ অপরাহ্ন



মৌলভীবাজারে মাতৃগর্ভে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

মৌলভীবাজার ২৫০-শয্যা জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলায় মাতৃ গর্ভেই শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। মৃত নবজাতকের লাশ নিয়ে হাসপাতালে অবস্থান করছেন স্বজনরা।

আজ মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে মাতৃগর্ভে নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা নিশ্চিত করেন ডাক্তার। পরে বিকেল ৪টায় অপারেশন করে মৃত বাচ্চা প্রসব করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার হামিদপুর গ্রামের গ্রাম পুলিশ সরাফত আলীর স্ত্রী তানিয়া আক্তার প্রসবকালীন ব্যথা নিয়ে গত ২১ নভেম্বর মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে গাইনি বিভাগে ভর্তি হন। ভর্তির দিন কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে আলট্রাসনোগ্রাফি করান। সেখানে বাচ্চা ও বাচ্চার মা সুস্থ্য আছে বলে জানান কর্তব্যরত চিকিৎসক। 

মঙ্গলবার চিকিৎসকের পরামর্শে আলট্রাসনোগ্রাফি করালে রিপোর্টে মাতৃগর্ভে নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনা জানান চিকিৎসক। এতে স্বজনদের অভিযোগ চিকিৎসক ও নার্সদের অবহেলায় মাতৃগর্ভে বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে।

নবজাতকের বাবা সরাফত আলী জানান, আমি পেশায় গ্রাম পুলিশ। আসার পরেই বলেছি আমার এত টাকা নেই অন্য হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানোর। আমার স্ত্রী ১০ মাসের গর্ভবতী ছিল। গত ১৯ তারিখ ডাক্তার দেখিয়েছি, সেখানে বলেছে হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ইউনিয়ন চেয়ারম্যান নকুল চন্দ দাস সদর হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দিয়ে বলেন সেখানে ভালো চিকিৎসা হয়। গত রোববার (২১ নভেম্বর) মৌলভীবাজার-২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। আজ একজন ডাক্তার এসে আলট্রাসনোগ্রাফি করতে বললে আমরা করি। রিপোর্টে বাচ্চা মারা গেছে জানান ডাক্তার।

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: আহমেদ ফয়সল জামান বলেন, তাদের অভিযোগ শুনেছি। আলট্রাসনোগ্রাফিতে এসেছে বাচ্চা মায়ের পেটে মারা গেছে। এখানে অবহেলা কোথায় বুঝলাম না। গতকাল পর্যন্ত আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে অনুযায়ী বাচ্চা সুস্থ ছিল।

তিনি বলেন, আজ বাচ্চা নাড়াচাড়া করছে না। এটা বাচ্চার মা বুঝতে পারেননি। যখন ডাক্তার দেখেছে তখন দেরি হয়ে গেছে। সাধারণত বাচ্চা নড়াচাড়া বন্ধ হয়ে গেলে মা বুঝতে পারেন। গতকাল পর্যন্ত বাচ্চার নড়াচাড়া ছিল। মেডিকেল সাইন্সের কারণে অনেক সময় বাচ্চা মারা যায়। মা টের পায়নি আমরা ব্যবস্থা গ্রহন করতে করেত দেরি হয়ে গেছে।

আরসি-১৩