নিজস্ব প্রতিবেদক
নভেম্বর ২৪, ২০২১
০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন
আপডেট : নভেম্বর ২৪, ২০২১
০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন
সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পুনঃনির্বাচন আজ। দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে দুই মেম্বার প্রার্থীর ফলাফল টাই হওয়ায় মেম্বার পদে পুনঃনির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। আজ বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২টা থেকে এই ওয়ার্ডে পুনঃভোটগ্রহণ শুরু হবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে সিলেটের অন্যান্য ইউনিয়নের সাথে জালালাবাদ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আলীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোটগ্রহণ উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল ৪টারপর ভোট গণনা শুরু হয় তখন দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং অফিসার ভোট গণনায় অনিয়ম করেছেন বলে ওয়ার্ডের তালা মার্কা প্রতীকের মেম্বার গোলাম রব্বানী অ্যাজেন্টরা অভিযোগ করেন। এরপর ব্যালেট বাক্স উপজেলায় নিয়ে এসে তালা মার্কার ও মুজাহিদ আলীর মোরগ প্রতীক সমপরিমান (৩৮৫+৩৮৫) হয়েছে বলে প্রিসাইডিং অফিসার ঘোষণা দেন। এই ঘোষণাটি পক্ষপাতমূলক বলে নির্বাচন অফিসে অভিযোগ করে শুধু মেম্বার প্রার্থীদের ভোট পুনঃগননার দাবিতে আবেদন করা হয়। তবে নির্বাচন কমিশন পুনরায় ভোট গ্রহণের উদ্যোগ নেয়। যার ফলে আজ বুধবার দুই মেম্বার প্রার্থী গোলাম রব্বানী (তালা) ও মুজাহিদ আলীর (মোরগ) প্রতীকের মধ্যে পুনরায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনী প্রচারকে কেন্দ্র করে সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে গত ২৩ অক্টোবর দুই মেম্বার পদপ্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আলা উদ্দিন আলা (৪৫) নামের একজন। সেই ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে আজ বুধবার পুনঃনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সিলেট সদরের জালালাবাদ ইউনিয়নে মেম্বার পদপ্রার্থী আব্দুল হামিদ ও গোলাম রাব্বানীর সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার রাতে বিষয়টি নিয়ে আলা উদ্দিন আলা (৪৫) এবং তাঁর চাচাতো ভাই আলী আহমদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় গোলাম রাব্বানীর লোকজনকে নিয়ে বাড়ির দিকে না আসতে আলা উদ্দিনকে নিষেধ করা হয়। আলা উদ্দিন গোলাম রাব্বানীর কয়েকজন সমর্থককে নিয়ে বাড়িতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় প্রতিপক্ষ লোকজনের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হন আলা উদ্দিন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছিলেন আরও ৭জন। তারা ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে জালালাবাদ থানার ওসি মো. নাজমুল হুদা খানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সংঘর্ষে নিহত এবং ১০ জনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বি এম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের।
আরসি-০৩