কমিউনিটি সেন্টারে জোড়া লাশ, ‘বিষাক্ত ধোঁয়ায়’ মৃত্যু

কানাইঘাট প্রতিনিধি


ডিসেম্বর ০২, ২০২১
১১:৩০ অপরাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ০২, ২০২১
১১:৩৬ অপরাহ্ন



কমিউনিটি সেন্টারে জোড়া লাশ, ‘বিষাক্ত ধোঁয়ায়’ মৃত্যু

সিলেটের কানাইঘাটের আনন্দ কমিউনিউটি সেন্টারে বাবুর্চি ও তার সহযোগির মৃত্যু হয়েছে কয়েল ও লাকড়ির বিষাক্ত ধোঁয়া এবং অক্সিজেন সংকট থেকে। এমনটিই ধারণা পুলিশের।

পুলিশ বলছে, বদ্ধ ঘরে মশা তাড়াতে জ্বালানো লাকড়ির ধোঁয়া ও অক্সিজেন সংকটের কারণে তাদের মৃত্যু হতে পারে। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন আসলে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যাবে।

আজ বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) নিহতদের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এর আগে তাদের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে।

একই সময়ে ওই কমিউনিটি সেন্টার থেকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা আরেকজনের শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে তিনি এখনও ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

গতকাল বুধবার (১ ডিসেম্বর) সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের গাছবাড়ী বাজার এলাকার আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারের একটি কক্ষ থেকে বাবুর্চি সুহেল আহমদ (২৮) ও তার সহযোগি সালমা বেগমের (৪০) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তাজুল ইসলাম  বলেন, মারা যাওয়া দুজনের শরীরের কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। তারা রাতে প্রচুর পরিমান গরুর মাংস খেয়ে একটি বদ্ধ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। মশা তাড়ানোর জন্য ওই ঘরে খড়ি জ্বালিয়ে রেখেছিলেন।

ওসি বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, খড়ির বিষাক্ত ধোয়া ও অক্সিজেন সঙ্কটের কারণে দুজনের মৃত্যু ও একজন অসুস্থ হতে পারেন। অসুস্থ হওয়া ব্যক্তির বক্তব্যের প্রেক্ষিতেও এমনটি ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের রান্না করার জন্য আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারে যান সুহেল আহমদ, সালমা বেগম ও নাজিম উদ্দিন। রান্না শেষে রাত ৩টার দিকে তারা কমিউনিটি সেন্টারের ২য় তলার একটি ছোট কক্ষে শুয়ে পড়েন। বুধবার সকাল ৭টার দিকে ঘুম থেকে এ ৩জন না উঠলে বিয়ের আয়োজনকারী জসিম উদ্দিন তাদের ডাকতে রুমে যান। ডাকাডাকির পরও তারা ঘুম থেকে না উঠলে একপর্যায়ে কক্ষের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে জসিম উদ্দিনসহ কয়েকজন দেখতে পান- বাবুর্চি সুহেল আহমদ, নাজমা বেগম ও নাজিম এলোমেলো অবস্থায় পড়ে রয়েছেন এবং কক্ষের ভেতর ধোয়ায় আচ্ছন্ন। এসময় এ তিনজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ সুহেল ও সালমা বেগমকে মৃত ঘোষণা করেন এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় নাজিম উদ্দিনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন।

এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।


এএফ/০৮