ইউপি নির্বাচনে ভোট না দেয়ায় নির্যাতনের অভিযোগ, আটক ১

বালাগঞ্জ প্রতিনিধি


ডিসেম্বর ০৬, ২০২১
০৯:৫০ অপরাহ্ন


আপডেট : ডিসেম্বর ০৬, ২০২১
০৯:৫০ অপরাহ্ন



ইউপি নির্বাচনে ভোট না দেয়ায় নির্যাতনের অভিযোগ, আটক ১

বালাগঞ্জে ভোট না দেয়ায় হুমকি ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নের সোনাপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের রহমত উল্যার ছেলে ইয়াছিন মিয়া বাদী হয়ে রবিবার (৫ ডিসেম্বর) সিলেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। 

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন-বোয়ালজুড় ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের পশ্চিম সোনাপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের পরাজিত ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী নশর আলী, একই গ্রামের কাঞ্চন বৈদ্য ও শাকির মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১৪-১৫জন। 

মামলা দায়েরের পর সোমবার সকালের দিকে স্থানীয় কালিবাড়ি বাজার থেকে অভিযুক্ত কাঞ্চন বৈদ্যকে আটক করেছে পুলিশ। 

বালাগঞ্জ থানার এসআই নুরুজ্জামান আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১১ই নভেম্বর ২য় ধাপে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বোয়ালজুড় ইউনিয়নের ৪নং ওর্য়াডে ইউপি সদস্য পদেপ্রার্থী নশর আলী ঘুড়ি প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্ব›দ্বীতা করে পরাজিত হন। ১৩ নভেম্বর রাতে নশর আলীর আয়োজনে সোনাপুর দক্ষিণপাড়া গ্রামের কামাল মিয়ার বাড়ির উঠানে বৈঠক বসে। 

ইয়াছিন মিয়া অভিযোগ করে বলেন, বৈঠকে তিনিসহ ৬ জনকে ডেকে নশর আলীকে ভোট না দেয়ার কারণ জানতে চাওয়া হয়। নির্বাচনের ক্ষতিপূরণ হিসেবে তাদের কাছে ৩ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদেরকে মারধর ও জুতাপেটা করে অপদস্ত করা হয়। এ ঘটনায় ইয়াছিন মিয়া প্রথমে বালাগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও অভিযোগের অগ্রগতি হয়নি। পরবর্তী সময়ে তারা ৬ জন গ্রামছাড়া ছিলেন এবং নিরুপায় হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। ইউপি সদস্য পদপ্রার্থী নশর আলী জুতাপেটা ও মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কতিপয় স্বার্থন্বেষী লোকজনের চক্রান্তে ভিত্তিহীন অভিযোগে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এই মামলা করে আমাদেরকে হয়রানি করা হচ্ছে। আদালত মামলাটি তদন্তের নির্দেশ নিয়েছেন কিন্তু প্রাথমিক তদন্ত ছাড়া পুলিশ কিভাবে গ্রেপ্তার করতে পারে এনিয়ে প্রশ্ন রাখেন তিনি।

বাদীর পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণে বালাগঞ্জ থানার ওসি তদন্তকে নির্দেশ দিয়েছেন। 

এস এ/বি এন-০৫