সিলেট মিরর ডেস্ক
ডিসেম্বর ১৬, ২০২১
০১:২৭ অপরাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ১৬, ২০২১
০১:২৭ অপরাহ্ন
মহান বিজয় দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশর সবচেয়ে বড় শৈল্পিক পতাকা প্রদর্শন করা হয়েছে হবিগঞ্জে। ওয়ালটন টি আর ইলেক্ট্রো মার্টের সৌজন্যে সদর উপজেলার তেঘরিয়া ইউনিয়নের পাঁচপাড়িয়া মাঠে। ৪৮ ঘন্টা কাজ করে ১১৭৬০ বর্গফুট পতাকাটি তৈরি করেন হবিগঞ্জ চারুকলা একাডেমির কর্ণধার চিত্রশিল্পী আশীষ আচার্য্য।
এর আগে ২০১৩ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসকে স্মরণ করে ২৭ হাজার ১১৭ জন মানুষ নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব পতাকা গড়েছিল বাংলাদেশ। ‘লাল-সবুজের বিশ্ব জয়’ শিরোনামে মুঠোফোন সেবাদান প্রতিষ্ঠান রবি আজিয়াটার এই আয়োজনের কৌশলগত অংশীদার ছিল বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ধান গাছের খের ও রং দিয়ে তৈরি করা বিশাল পতাকাটি গতকাল বৃহস্পতিবার সারাদিন পতাকাটি প্রদর্শিত হয় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পাঁচপাড়িয়া মাঠে। সারাদিনই এই বিশাল পতাকা দেখতে এই গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের মানুষ এসেছেন। এছাড়াও হবিগঞ্জ শহর থেকেও মানুষজন এসেছেন এই পতাকাটি দেখতে। বিশাল শিল্পকর্মটি তৈরি করতে চিত্রশিল্পী আশীষ আচার্য্যের সহযোগী ছিলেন অমিত, দীপ্ত, প্রবল, অংশু, সাইফুল, বিন্দু।
সার্বিক পরামর্শ দিয়ে পতাকা তৈরিতে সহযোগিতা করেন ঢাকা আর্ট কলেজের সহকারী শিক্ষক কপিল রায়। এই পতাকা তৈরির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিল দি ইভেন্টরস।
এ ব্যাপারে চিত্রশিল্পী আশীষ আচার্য্য বলেন, বিজয়েরে ৫০ বছর উদযাপনে এই বিশাল পতাকা তৈরি করতে পেরে গর্ববোধ করছি। পতাকাটি ধান গাছের খের ও রং ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ পরিবেশ বান্ধব। ইন্সটলেশনে এটিই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শৈল্পিক পতাকা। এর আগে ২৭ হাজার ১১৭ জন মানুষ নিয়ে রবি তৈরি করেছিল মানব পতাকা।
এ ব্যাপারে ওয়ালটন টি আর ইলেক্ট্রো মার্টের কর্ণধার রোটারিয়ান মো. মোদারিছ আলী টেনু বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের পরিচয়ের প্রধান অনুষঙ্গ হচ্ছে জাতীয় পতাকা। তাই বিজয়ের ৫০ বছর উদযাপনে এই শৈল্পিক পতাকা প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করি আমরা। বিজয় দিবসে বিশাল এই পতাকাটি প্রদর্শন করতে পেরে খুব গর্ববোধ করছি।
আরসি-১৪