দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি
ডিসেম্বর ২১, ২০২১
০১:২৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : ডিসেম্বর ২১, ২০২১
০১:২৬ পূর্বাহ্ন
সুরমার ভাঙনে জমিজমা ও বসতভিটে হারিয়ে নিঃস্ব দোয়ারাবাজার উপজেলা সদরের পশ্চিম মাছিমপুর গ্রামের প্রয়াত ইছবর আলী মেম্বারের পরিবার। বিগত কয়েক যুগ ধরে সুরমা নদীর অব্যাহত ভাঙনে পুরনো বসত বাড়িসহ অন্তত ১০ একর ফসলী জমি বিলীন হয়েছে।
ইছবর মেম্বারের মৃত্যুর পর তাঁর ৬ সন্তানের একমাত্র ভিটেমাটি ছাড়া আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। নদীর চর ও সরকারি খাস ভূমিতে ফসল উৎপাদন করে সংসার চলে তাদের।
ইছবর আলী মেম্বারের পুত্র মোক্তার হোসেন, চোখের পানি ফেলতে ফেলতে বলছিলেন, ‘আমাদের পুরনো বাড়ি ও রেকর্ডিয় ফসলী জমি সব সুরমার ভাঙনে বিলীন হয়েগেছে। এখন ভিটেমাটি ছাড়া আমাদের আর কিছুই নেই। নদী ভাঙনের কারণে সব হারিয়ে যাওয়ায় বিগত ১০০ বছর ধরে আমরা নদীর চর ও সরকারি জায়গা ভোগদখল করে আসছি ।’
সরেজমিনে দেখা গেছে, মাছিমপুর গ্রাম নদীতে ভেঙে দুই খণ্ডের সৃষ্টি হয়েছে। বেশির ভাগ পরিবার নদীর অপর পাড়ে বসতবাড়ি করেছে। গ্রামের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশ স্বাধীনের পূর্ব হতেই মাছিমপুর গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবার ভাঙনের শিকার হয়েছে। এর অধিকাংশ পরিবার তিন-সাতবার ভাঙনের কবলে পড়েছে। অনেকেই এলাকা ছেড়ে অন্য এলাকায় বসতি গড়েছে। অসচ্ছলতার কারণে যারা অন্যত্র যেতে পারেনি, তারা একবার এ পাড়ে, আরেকবার অন্য পাড়ে বসতি গড়ছে। নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মধ্যে প্রয়াত ইছবর আলী মেম্বারের পরিবার অন্যতম।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের আনোয়ার হোসেন, জাবেদ হোসেন, দেলোয়ার হোসেন, জহির ও আক্তার জানান, নদী ভাঙনে আমাদের সর্বস্ব বিলীন হওয়ায় আমরা নদীর চর ও সরকারি খাস ভূমি ভোগদখল করে জীবন জীবিকা রক্ষা করে আসছি। ইতোমধ্যে ওই জমিগুলো বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের কাছে আবেদনও করেছি।
এইচএইচ/আরসি-১২